50000 কমে Samsung-এর ফোল্ডেবল স্মার্টফোন, কোথায় পাবেন এই ধামাকাদার অফার

বিশেষ ডিজাইন এবং গাদাগুচ্ছের ফিচার থাকা সত্ত্বেও, আর পাঁচটা স্মার্টফোনের মত ফোল্ডেবল (Foldable) ফোনগুলি খুব সাধারণ ধারায় পৌঁছায়নি। সোজা কথায় বললে এখনও খুব কম মানুষই আছেন, যারা এই ফোনগুলি কিনে থাকেন। আর এর একটি প্রধান কারণ হল ফোল্ডেবল স্মার্টফোনগুলির দাম – এগুলি কিনতে সাধারণত প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হয়। সেক্ষেত্রে আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে একটি ফোল্ডেবল বা ভাঁজযোগ্য ফোন কেনার কথা ভেবে থাকেন, কিন্তু এই চড়া দামের কারণে বারবার আপনাকে পিছপা হতে হয়, তাহলে আপনার জন্য এই প্রতিবেদনে রয়েছে একটি দারুণ সুখবর! এখন, একটি ফ্ল্যাগশিপ মডেলের দাম খরচ করেই আপনি একটি ফোল্ডিং স্মার্টফোন কিনতে পারেন, তাও আবার যে সে ফোন নয় – Samsung-এর Galaxy Z Flip3 মডেল। হ্যাঁ, বর্তমানে এই আকর্ষণীয় ফোনটি ৫০,০০০ টাকারও কমে কেনার সুযোগ রয়েছে। কীভাবে? আসুন বিস্তারিত জেনে নিই।

লঞ্চের ছয় মাস যেতেই ব্যাপক দাম কমেছে Samsung Galaxy Z Flip3-এর

আলোচ্য স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৩ ফোনটি প্রায় ছয় মাস আগে ৯৫,৯৯৯ টাকা মূল্যে লঞ্চ হয়েছিল। কিন্তু আত্মপ্রকাশের এতটা সময় পরে এই ফোনের দাম বলতে গেলে অনেকটা কমেছে। বর্তমানে গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৩ মডেলটি ফ্লিপকার্টে ৬৯,৯৯৯ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে আগ্রহীরা চাইলে আরও খানিকটা কম দামে এই ফোন কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো পুরোনো ফোন এক্সচেঞ্জ করে এই বিশেষ হ্যান্ডসেটটি কিনলে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত দাম পাওয়া যাবে, এতে ফোল্ডেবল ডিভাইসটির দাম নেমে আসবে ৪৯,৯৯৯ টাকায়। তবে এখানেই অফারের শেষ নয়! আগ্রহীরা ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড মারফত প্রিপেইড পেমেন্ট করে এই ফোনটি কিনলে ৩,০০০ টাকার ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট পাবেন।

উল্লেখ্য, একসাথে পুরো টাকা দিয়ে গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৩ কিনতে না চাইলেও কুছ্ পরোয়া নেই। কারণ এতে নো-কস্ট ইএমআই, পে লেটার স্কিম ইত্যাদির সুবিধা রয়েছে। আবার যদি কেউ ফ্লিপকার্ট পে লেটার স্কিম ব্যবহার করে ফোনটি কেনেন, তাহলে তিনি ৫,০০০ টাকার গিফ্ট কার্ড জিতে নিতে পারেন; পাওয়া যেতে পারে ২৬,০০০ টাকার ক্যাশব্যাক বা কুপনও। নিঃসন্দেহে এটি ফোল্ডেবল স্মার্টফোন কেনার সেরা সময়।

Samsung Galaxy Z Flip3-এর স্পেসিফিকেশন,

স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৩-তে রয়েছে ৬.৭ ইঞ্চি ফুল-এইচডি+ (২৬৪০×১০৮০ পিক্সেল) ডায়নামিক অ্যামোলেড ২এক্স ইনফিনিটি ফ্লেক্স ডিসপ্লে, যা ১২০ হার্টজ অ্যাডাপটিভ রিফ্রেশ রেট সাপোর্ট করে। ফোনের কভার স্ক্রিনটি ১.৯ ইঞ্চি (২৬০×৫১২ পিক্সেল) সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে, এতে কর্নিং গরিলা গ্লাস ভিক্টাস প্রোটেকশন মিলবে। এক্ষেত্রে পারফরম্যান্সের জন্য ফোনটিতে অক্টা-কোর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮ প্রসেসর দেওয়া হয়েছে, সাথে রয়েছে ৮ জিবি এলপিডিডিআর৫ (LPDDR5) র‌্যাম এবং ২৫৬ জিবি পর্যন্ত ইউএফএস ৩.১ (UFS 3.1) ইন্টারনাল স্টোরেজ। অন্যদিকে পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য এটি ১৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং, ১০ ওয়াট কিউআই ওয়্যারলেস চার্জিং এবং ৪.৫ ওয়াট রিভার্স ওয়্যারলেস চার্জিং টেকনোলজিসমেত ৩,৩০০ এমএএইচ ব্যাটারি বহন করবে। এছাড়া ফটোগ্রাফির জন্য এতে পাওয়া যাবে ১২ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরাযুক্ত ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ এবং ১০ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। শুধু তাই নয়, গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৩-তে আইপিএক্স৮ (IPX8) ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট রেটিং এবং ৫জি (5G) ফিচারও বর্তমান।