WhatsApp: দিনের বেশির ভাগ সময় হোয়াটসঅ্যাপে কাটান? হ্যাকিং এড়াতে মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি

বর্তমান সময়ে WhatsApp (হোয়াটসঅ্যাপ) এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা প্রায় প্রতিটি মানুষ ব্যবহার করে। তরুণ প্রজন্মের কিশোর কিশোরী থেকে শুরু করে ৭০-৭৫ বছর বয়সী প্রবীণ – ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং মাধ্যমটির ইউজারদের মধ্যে বৈচিত্র্যও কম নয়। তবে শুধু যে মেসেজিং বা চ্যাটিংয়ের জন্য WhatsApp ব্যবহৃত হয় তা নয়, বরঞ্চ এই প্ল্যাটফর্মে রোজ ছবি, অডিও ইত্যাদি নানাবিধ ফাইলও শেয়ার করা হয়। সেক্ষেত্রে নিউটন সাহেব তৃতীয় সূত্রের ভিত্তিতে বলা যায়, এই বহুল ব্যবহারেরও নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। বহু সময়ই WhatsApp-এর অপব্যবহার হয়। অনেক হ্যাকার এবং সাইবার অপরাধী এই অ্যাপ ব্যবহার করে ইউজারদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে, অন্যদিকে কিছু মানুষ এটির সাহায্যে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেয়। WhatsApp ছাড়া বলতে গেলে এক পা-ও চলা ভার, তাহলে কীভাবে এই সমস্যাগুলি থেকে বাঁচবেন?

আপনি যদি এতটুকু পড়ে চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন, তাহলে বলব দাঁড়ান! আমরা এখানে এমন পাঁচ-পাঁচটি সিকিউরিটি টিপস শেয়ার করছি, যার মাধ্যমে আপনি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার সময় সুরক্ষিত থাকতে পারেন।

WhatsApp ব্যবহারের সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন

১. মেসেজ ফরওয়ার্ড: হোয়াটসঅ্যাপে কোনো মেসেজ ফরোয়ার্ড করার আগে তা ভুয়ো কিনা সেটি সঠিকভাবে চেক করা জরুরি। ইতিমধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ সমস্ত ফরোয়ার্ড মেসেজগুলির জন্য একটি লেবেল তৈরি করেছে এবং ইউজারদের কাছে মেসেজ ফরোয়ার্ড করার একটি লিমিট নির্ধারণ করেছে। তাই ফোনে আগত যেকোনো মেসেজের ফাঁদে পা দেবেন না!

২. ফ্যাক্ট চেকিং মেসেজ: ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের দশটি স্বাধীন ফ্যাক্ট চেকিং কোম্পানি রয়েছে যা ইউজারদের তথ্য শনাক্ত করতে, রিভিউ করতে এবং যাচাই করতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মটিতে ভুল তথ্যের বিস্তার রোধ হয়। এক্ষেত্রে ইউজাররা একটি মেসেজ বা তথ্য যাচাই করতে দ্য পয়েন্ট ইনস্টিটিউটের আইএফসিএন হোয়াটসঅ্যাপ (IFCN WhatsApp) চ্যাটবটে টেক্সট করার সুযোগ পাবেন।

৩. টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন: হোয়াটসঅ্যাপ, ইউজারদের টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন অপশন প্রদান করে যাতে তারা অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে পারেন। এই অপশন ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট রিসেট এবং ভেরিফাই করার জন্য একটি ছয়-সংখ্যার পিন প্রয়োজন।

৪. হোয়াটসঅ্যাপ ব্লক এবং রিপোর্ট: ইউজাররা যদি কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে অপ্রীতিকর বা বিরক্তিকর মেসেজ পায়, তাহলে তারা সেই অ্যাকাউন্ট/কন্ট্যাক্ট রিপোর্ট করতে কিংবা ব্লক করতে পারে।

৫. প্রাইভেট চ্যাট: মেটা (Meta) মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্মটি কয়েক মাস আগে ‘ডিসঅ্যাপেয়ারিং মেসেজ’ (Disappearing Message) নামে ফিচার এনেছে, যার সাহায্যে ব্যবহারকারীদের নির্বাচিত চ্যাট নির্দিষ্ট সময় পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট হয়ে যায়। এছাড়া ‘ভিউ ওয়ান্স’ (View Once) বলে একটি বিকল্প রয়েছে যার মাধ্যমে ফটো বা ভিডিও পাঠালে, রিসিভার একবার খোলার পর ফাইল চ্যাট থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে।