Xiaomi স্মার্টফোন মার্কেটে শীর্ষস্থান দখলে মরিয়া, Samsung-কে টেক্কা দিতে নয়া স্ট্রাটেজি

শাওমি (Xiaomi) ভারতে রিটেল আউটলেটের মাধ্যমে অফলাইন সেলকে অগ্রাধিকার দিতে স্মার্টফোন ব্যবসার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত কিছু পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছে। শাওমি ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন যে, কৌশল…

শাওমি (Xiaomi) ভারতে রিটেল আউটলেটের মাধ্যমে অফলাইন সেলকে অগ্রাধিকার দিতে স্মার্টফোন ব্যবসার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত কিছু পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছে। শাওমি ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন যে, কৌশল বদলের পিছনে মূল লক্ষ্য হল স্মার্টফোন বিক্রয়কে পুনরুজ্জীবিত করে এই মুহূর্তে তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী স্যামসাং (Samsung)-কে টক্কর দেওয়া।

Xiaomi অফলাইন সেলস বাড়াতে নতুন কৌশল নিচ্ছে

ভারতে বিগত কয়েক বছরে অ্যামাজন (Amazon) এবং ফ্লিপকার্ট (Flipkart)-এর মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ই-কমার্স সেলে বিপুল বৃদ্ধি দেখা গেছে। ফলে শাওমি এবং অন্যান্য স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলি বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল স্মার্টফোন বাজারগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে ওঠা ভারতে তাদের ব্যবসা প্রসারিত করতে সক্ষম করেছে। এই মুহূর্তে এদেশের মোট ৬০০ মিলিয়ন বা ৬০ কোটি মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং সংখ্যাটি ক্রমবর্ধমান৷ তবে অনলাইন বৃদ্ধি সত্ত্বেও, অফলাইন রিটেল আউটলেটগুলি এখনও দেশের স্মার্টফোন বিক্রির প্রধান চ্যানেল হিসেবে রয়ে গেছে।

বর্তমানে, ইতিমধ্যেই ভারত জুড়ে ১৮,০০০ অফলাইন স্টোরে শাওমির প্রোডাক্টের লক্ষণীয় উপস্থিতি রয়েছে। আর এখন, কোম্পানিটি তাদের অফলাইন ফুটপ্রিন্ট আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। শাওমির ভারতীয় শাখার প্রধান, মুরালিকৃষ্ণাণ বি. অফলাইন বিভাগে তাদের কোম্পানির তুলনামূলকভাবে দুর্বল অবস্থান স্বীকার করে জানিয়েছেন, প্রতিযোগী সংস্থাগুলি তাদের কৌশল ভালভাবে সম্পাদন করে বাজারের বড় অংশ দখল করে রেখেছে।

জানিয়ে রাখি, কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যে Xiaomi এখন ভারতে মার্কেট শেয়ারের দিক থেকে Samsung-এর থেকে পিছিয়ে। Samsung বর্তমানে Xiaomi-এর ১৬% মার্কেট শেয়ারের তুলনায় কিছুটা বেশি ২০% দখল করে রয়েছে। অফলাইন উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য, Xiaomi তাদের দোকানগুলিতে আরও স্টোর প্রোমোটর নিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে, যারা রিটেল আউটলেটের মধ্যে ক্রেতাদের কাছে Xiaomi ফোনগুলিকে ভালোভাবে প্রদর্শন করতে পারবেন এবং সুবিধাগুলি যথার্থভাবে তুলে ধরবেন৷ কোম্পানির লক্ষ্য চলতি বছরের প্রথম দিকের তুলনায় আগামী বছরের শেষ নাগাদ প্রোমোটরদের সংখ্যা তিনগুণ করে ১২,০০০-এ পৌঁছানো।