টাটা হ্যারিয়ার চালানো অবস্থায় সামলাচ্ছেন অফিসের কাজ। এক হাতে ল্যাপটপ, আর এক হাতে স্টিয়ারিং। নেটদুনিয়ায় ইতিমধ্যে ভাইরাল ‘ওয়ার্ক ফ্রম কার’ ভিডিয়ো। সম্প্রতি এক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ব্যাস্ত রাস্তায় টাটা হ্যারিয়ার চালক তার ল্যাপটপ ব্যবহার করছেন। কিন্তু এমন বোকামির ফলে যে পরিণতি মারাত্মক হতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত, দেশে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা ট্র্যাফিক নিয়ম অমান্য করার আগে দু’বার ভাবে না।
প্রতি বছর দেশে প্রচুর মানুষ সড়ক দুর্ঘটনার ফলে মারা যান। এই প্রবণতা শুধু অন্য গাড়ি চালককে নয়, পথচারীদের বিপদের মুখে ঠেলে দেয়। সম্প্রতি নিখিল রানা নামক এক ইউটিউবার এই পোস্ট করেছেন। তাঁর এই চ্যানেলে সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়বস্তু দেখানো হয়। ভিডিয়ো অনুযায়ী, ওই টাটা হ্যারিয়ার চালককে স্টিয়ারিং হুইলের কাছে একটি বিশাল ল্যাপটপ-সহ দেখা গিয়েছে। ভারী যানজট থাকা সত্ত্বেও তিনি এটি ব্যবহার করে চলেছেন।
রাস্তার পরিস্থিতি যেমনই হোক এসব নিয়ে বিরক্ত নন তিনি। যানজটের মধ্যে গাড়িও চালাচ্ছেন এবং একই সাথে ল্যাপটপ ব্যবহার করছেন। এই ভিডিয়োটি স্পষ্টতই দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা। অনেকর মতে, গাড়ির কাছাকাছি হেঁটে আসা কোনও পথচারীর বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম। চালক নিজেও গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারেন এবং দুর্ঘটনার মুখে পড়তে পারেন। এই ভিডিয়ো কার্যত স্পষ্ট করেছে, যে ওই চালক নিজের জীবনের পাশাপাশি আশেপাশের সকলের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন।
প্রসঙ্গত, ভারতে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ গাড়ি দুর্ঘটনাযর কারণে মারা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, দুর্ঘটনাগুলি ট্র্যাফিক নিয়ম অমান্য করার ফলে ঘটে। প্রতিনিয়ত প্রশাসন, পুলিশ এবং বিভিন্ন সংস্থা ট্র্যাফিক সংক্রান্ত নানা সচেতন বার্তা করে থাকে। এই নিয়ে নানা বিজ্ঞাপন এবং ভিডিয়ো তৈরি করা হলেও, এখনও একটা বড় অংশের মানুষ রয়েছেন যাঁরা ট্র্যাফিক নিয়মকে গুরুত্ব দেন না এবং আশেপাশের সকলের জন্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেন।