অনুমোদন পাওয়ার শেষ ধাপে রয়েছে Starlink। স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের স্পেকট্রাম বন্টনের কাজ প্রায় শেষের দিকে বলে জানা গিয়েছে। এটি একবার সম্পন্ন হলে জিও, এয়ারটেলের সঙ্গে ছাড়পত্র পাবেন ইলন মাস্কের কোম্পানি। ইতিমধ্যে টেলিকম নিয়ন্ত্রক বা ট্রাই, স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবাগুলির জন্য স্পেকট্রাম বরাদ্দ করার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী স্যামসাং আর, স্টারলিংক চালু হলে উচ্চ-গতির ইন্টারনেট সংযোগ উপভোগ করতে পারবেন। এমনকী, যে এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বা অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ নেই সেখানেও পরিষেবা পাওয়া যাবে। গুচ্ছের প্রতিশ্রুতি নিয়ে দেশে পা রাখতে চলেছে স্টারলিঙ্ক। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবে কতটা রাখতে পারেন ইলন মাস্ক, সেটাই হবে দেখার বিষয়।
উল্লেখ্য, স্পেকট্রাম বন্টন প্রক্রিয়া শেষ হলে স্টারলিঙ্কের পাশাপাশি ছাড়পত্র পাবে জিও স্যাটকম, এয়ারটেল ওয়ানওয়েব এবং অ্যামাজন কুইপার। দেশের বাজারে মহাকাশ ভিত্তিক ইন্টারনেট দেওয়ার দৌড়ে বর্তমানে এই চার সংস্থা লড়াই করছে।
উল্লেখ্য, 15 ডিসেম্বর, 2024 এ টেলিকমিউনিকেশন বিভাগকে (DoT) স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড পরিষেবাগুলির জন্য স্পেকট্রাম বরাদ্দের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ জানায় ট্রাই। 2G পরিষেবাগুলির মতোই স্পেকট্রাম বরাদ্দ প্রক্রিয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও জিও এবং এয়ারটেল নিলামের মাধ্যমে স্পেকট্রাম বরাদ্দ করার দাবি জানিয়েছিল।
কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নিশ্চিত করেছেন, যে স্পেকট্রাম বরাদ্দ সংক্রান্ত একটি সিদ্ধান্ত 2025 সালের জানুয়ারির শেষের দিকে নেওয়া হতে পারে।
জিও এবং এয়ারটেল, উভয়ই তাদের নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়াগুলি সম্পন্ন করে ফেলেছে। ফলে স্পেকট্রাম বরাদ্দ হয়ে গেলে, তারা দ্রুত স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড পরিষেবাগুলি চালু করতে পারবে। অন্যদিকে, স্টারলিঙ্ক এবং অ্যামাজন কুইপার পরিষেবাগুলি চালু করার আগে ভারতীয় আইনগুলির সাথে তাদের সম্মতি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।