সিম নিয়ে কঠোর কেন্দ্র। গত তিন মাসে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় ৭১,০০০ এরও বেশি সিম কার্ড ব্লক করেছে টেলিকম দফতর। জানা গিয়েছে, এই সিম কার্ডগুলি প্রতারণামূলক কাজের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল, পাশাপাশি বেশিরভাগ সিম জালিয়াতিকারীদের দ্বারা ভুয়ো পরিচয়পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধিত ছিল।
টেলিকম দফতর সূত্রে দাবি, অপরাধীরা পয়েন্ট অফ সেল (পিওএস) এজেন্টদের ব্যবহার করে অবৈধভাবে সিম কার্ড সংগ্রহ করত। তারা যে কৌশলে এই কাজ করত তা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রকাশ করেছেন যে, তারা এই কার্ডগুলি সুরক্ষিত করার জন্য জাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করেছিল।
সিম কার্ড সম্পর্কিত জালিয়াতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করার জন্য সঞ্চার সাথী পোর্টাল, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অথবা ১৯৩০ নম্বরে কল করার অনুরোধ করেছেন টেলিকম দফতর এবং সাইবার বিশেষজ্ঞরা। কর্মকর্তাদের মতে, ভুক্তভোগীরা যদি এগিয়ে না আসেন, তাহলে প্রতারকরা তাদের প্রতারণামূলক কৌশল অব্যাহত রাখবে। জালিয়াতি প্রতিরোধের জন্য এই ধরনের ঘটনা রিপোর্ট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
অপরদিকে, টেলিকম বিভাগের কর্মকর্তারা সিম জালিয়াতি ট্র্যাক এবং মোকাবিলা করার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জামের উপরও আলোকপাত করেছেন। এরকমই একটি সরঞ্জাম হল গ্রাহক যাচাইয়ের জন্য AI এবং মুখের স্বীকৃতি-চালিত সমাধান, যা ASTR নামে পরিচিত। এই ব্যবস্থা সিম কার্ড ব্যবহারকারীদের বিস্তারিত রেকর্ড বজায় রাখে। বিভিন্ন ঠিকানা এবং একই নামে একজন ব্যক্তি যদি একাধিক সিম কার্ড সংগ্রহ করে তা শনাক্ত করতে পারে।
এই প্রযুক্তির জন্য অনেক জালিয়াতি সিম সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কর্মকর্তারা আরও সতর্ক করেছেন যে, সিম কার্ড হস্তান্তরযোগ্য নয়। এর মানে হল, যে ব্যক্তি তাদের নামে সিম গ্রহণ করেন তিনিই এর ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী। অবৈধভাবে সিম কার্ড সংগ্রহ করা একটি জামিন অযোগ্য অপরাধ বলে জানানো হয়েছে।