Jio, Airtel, Vi এবং BSNL তাদের গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের প্রিপেড প্ল্যান অফার করে। সংস্থাগুলির কাছে দৈনিক 2 জিবি ডেটার একাধিক প্ল্যান আছে। তাই আপনি যদি বেশি ডেটা ব্যবহার করেন তাহলে এই প্ল্যানগুলি রিচার্জ করতে পারেন। কিন্ত সবার পক্ষে এই প্ল্যানগুলির দাম বা বেনিফিট সম্পর্কে জানা সম্ভব নয়। তাই আমরা আপনাদের জন্য একটি লিস্ট তৈরি করেছি। এই লিস্টে চারটি টেলিকম সংস্থার 400 টাকার কমে দৈনিক 2 জিবি ডেটা প্ল্যান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
Jio 198 টাকার প্রিপেড প্ল্যান
এটি জিও-র সবচেয়ে সস্তা প্রিপেড প্ল্যান, যেখানে রোজ 2 জিবি ডেটা পাওয়া যায়। 198 টাকার এই প্ল্যানের ভ্যালিডিটি 14 দিন। এই প্ল্যানে গ্রাহকরা আনলিমিটেড কলিং, রোজ 100 টি এসএমএস এবং দৈনিক 2 জিবি ডেটা (মোট 28 জিবি) পাবেন। মনে রাখবেন যে এটি 4G ডেটা। এখানে গ্রাহকরা আনলিমিটেড 5G ডেটাও পাবেন। অতিরিক্ত সুবিধা হিসাবে জিও টিভি, জিও সিনেমা এবং জিও ক্লাউডের অ্যাক্সেস পাওয়া যাবে।
Airtel 379 টাকার প্রিপেড প্ল্যান
এটি এয়ারটেলের সবচেয়ে সস্তা প্রিপেড প্ল্যান যেখানে প্রতিদিন 2 জিবি ডেটা পাওয়া যাবে। 379 টাকার এই প্ল্যানের ভ্যালিডিটি 1 মাস। এই প্ল্যানে গ্রাহকরা আনলিমিটেড কলিং, দৈনিক 100 টি এসএমএস এবং প্রতিদিন 2 জিবি পান। মনে রাখবেন এটি 4G ডেটা এবং দৈনিক ডেটা লিমিট শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ইন্টারনেটের গতি 64 Kbps হয়ে যাবে। এখানে আনলিমিটেড 5G ডেটাও অফার করা হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত সুবিধার মধ্যে রয়েছে আনলিমিটেড 5G ডেটা, স্প্যাম এসএমএস, কল অ্যালার্ট, এয়ারটেল এক্সস্ট্রিম অ্যাপের অ্যাক্সেস, অ্যাপোলো 24/7 সার্কেল এবং বিনামূল্যে হ্যালোটিউনস।
Vi 365 টাকার প্রিপেড প্ল্যান
এটি ভোডাফোন-আইডিয়ার (ভিআই) অন্যতম একটি সস্তা প্রিপেড প্ল্যান যেখানে রোজ 2 জিবি ডেটা পাওয়া যাবে। ৩৬৫ টাকার এই প্ল্যানের ভ্যালিডিটি 28 দিন। এই প্ল্যানে গ্রাহকরা আনলিমিটেড কলিং, প্রতিদিন 100 টি এসএমএস পাবেন। মনে রাখবেন এটি 4G ডেটা এবং দৈনিক ডেটা লিমিট শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ইন্টারনেটের গতি 64 Kbps হবে। তবে মনে রাখবেন এখানে অর্ধেক দিন (রাত 12 টা থেকে 12 টা পর্যন্ত) আনলিমিটেড ডেটা, উইকএন্ড ডেটা রোলওভার এবং ডেটা ডিলাইটস এর সুবিধা রয়েছে।
BSNL 199 টাকার প্রিপেড প্ল্যান
BSNL-এর 199 টাকার প্রিপেড প্ল্যানের বৈধতা 30 দিন। এই প্ল্যানে আনলিমিটেড কলিং এবং দৈনিক 100 টি এসএমএস সহ 2 জিবি (অর্থাৎ মোট 60 জিবি) ডেটা পাওয়া যাবে। দৈনিক ডেটা লিমিট শেষ হয়ে গেলে ইন্টারনেটের গতি কমে 40 Kbps হয়ে যায়।