স্প্যাম কল সম্পর্কে প্রায় সকল স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরাই ওয়াকিবহাল। কিন্তু, তা রুখতে টেলিকম সংস্থাগুলির উপর যে দায়িত্ব বর্তায়, তা রাখতে ব্যর্থ হলে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানাল সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে অবাঞ্ছিত স্প্যাম কলে কার্যত তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয়, এর ফলে আর্থিক প্রতারণার ঝুঁকিও জড়িয়ে রয়েছে। এদিন, কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে বাণিজ্যিক যোগাযোগ (UCC) এবং SMS সম্পর্কিত সংশোধিত নিয়ম বাস্তবায়নে ব্যর্থতার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।
স্প্যাম কল রুখতে কঠোর হচ্ছে ট্রাই
টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (TRAI) সম্প্রতি টেলিকম কমার্শিয়াল কমিউনিকেশনস কাস্টমার প্রেফারেন্স রেগুলেশনস (TCCCPR), ২০১৮-এর নিয়মে সংশোধনী এনেছে। এটির লক্ষ্য হল, টেলিকম সম্পদের অপব্যবহারের ক্রমবর্ধমান পদ্ধতিগুলি মোকাবিলা করা এবং গ্রাহকদের জন্য আরও স্বচ্ছ বাণিজ্যিক যোগাযোগ পরিষেবা প্রদান করা।
এই প্রসঙ্গে ট্রাই জানিয়েছে, যে ” স্প্যাম কলের গণনা ভুলভাবে রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে প্রদানকারীদের উপর প্রথম লঙ্ঘনের জন্য ২ লক্ষ টাকা, দ্বিতীয় লঙ্ঘনের জন্য ৫ লক্ষ টাকা এবং পরবর্তী লঙ্ঘনের জন্য প্রতি উদাহরণে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক জরিমানা আরোপ করা হবে।”
টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা আরও জানিয়েছে, এই জরিমানা বা শাস্তিগুলি নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত প্রেরকদের জন্য আলাদাভাবে আরোপ করা হবে। পাশাপাশি অবৈধ অভিযোগ বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে বা টেমপ্লেট নিবন্ধনের ক্ষেত্রে তাদের বাধ্যবাধকতা পূরণ না করতে পারলে পরিষেবা প্রদানকারীদের উপর জরিমানা আরও বাড়ানো হবে।
স্প্যাম কল ও মেসেজ রিপোর্ট করা যাবে
গ্রাহকরা এখন অনিবন্ধিত সংস্থাগুলির পাঠানো স্প্যাম কল এবং বার্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবেন। বাণিজ্যিক যোগাযোগ ব্লক করা বা গ্রহণ করার জন্য তাদের পছন্দগুলি প্রথমে নিবন্ধন করার প্রয়োজন হবে না। একজন গ্রাহক এখন স্প্যাম/ইউসিসি সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে পারবেন স্প্যাম পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে, যা আগে ৩ দিনের সময়সীমা ছিল।