প্রযুক্তির কামাল: সঙ্গী দূরে থাকলেও পাবেন চুম্বনের আসল অনুভূতি, এসে গেল অভিনব Kissing ডিভাইস

কেমন হত যদি দূরে থাকা সঙ্গীকে ফোন থেকেই চুমু খাওয়া যেত? সেই কৌতুহল এবং দূরত্বে থাকায় চুম্বনের সমস্যা মেটাতে হাজির বিশেষ ডিভাইস।

ভালোবাসার মানুষদের কাছে প্রিয় খাদ্য অবশ্যই ‘চুমু’! প্রিয় মানুষের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে ভালোবাসার স্বাদ খোঁজার অভিজ্ঞতা কম-বেশি সকলেরই আছে। আবার চুম্বনের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানা উপকারিতা আছে, এমনটাও গবেষণায় দাবি করা হয়। কিন্তু যদি প্রিয়জন দূরে থাকেন, সেক্ষেত্রে কী করে পাবেন উষ্ণ অনুভূতি বা স্নেহপরশ? সারাদিন ফোনে যতই কথা, চ্যাটিং বা ভিডিও কলিং হোক না কেন, খুদে যন্ত্রের এ প্রান্ত ও প্রান্ত থেকে তো আর এই খেদ মেটানো সম্ভব না। তাহলে? চিন্তার কোনো কারণ নেই, প্রযুক্তির কল্যাণে এবার লং ডিস্টেন্স রিলেশনশিপের এই সমস্যাও মিটবে বলে মনে হচ্ছে! আসলে চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি একটি অনন্য চুম্বন যন্ত্র আবিষ্কার করেছে। CNN-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সাংঝাউ ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেকাট্রনিক টেকনোলজি এই অদ্ভূত উদ্ভাবনী পেটেন্টটি তৈরি করেছে। তাদের দাবি, এই ডিভাইসটি মানুষকে দূরে থাকা সঙ্গীর স্পর্শের প্রকৃত অনুভূতি প্রদান করবে।

সঙ্গী দূরে থাকলেও চুম্বনের অনুভূতি পাবেন কিসিং ডিভাইসে

চীনা বিশ্ববিদ্যালয়টির মতে, এই বিশেষ চুম্বন ডিভাইসটি লং ডিস্টেন্স রিলেশনশিপে থাকা যুগল বা দম্পতিদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি হয়েছে। এই ডিভাইসটি সিলিকনের তৈরি এবং প্রেশার সেন্সর, অ্যাকিউরেটর্‌ দ্বারা সজ্জিত। মজার ব্যাপার হল যে, এটিকে অবিকল ঠোঁটের আকার দেওয়া হয়েছে যা অবিকল মানুষের ঠোঁটের চাপ, নড়াচড়া এবং তাপমাত্রা প্রদান করে প্রকৃত চুম্বনের অনুভূতি দেবে। শুধু তাই নয়, কিসিং ডিভাইসটি ইউজারদের মুখ থেকে নির্গত শব্দও ট্রান্সমিট করবে।

কীভাবে ব্যবহার করা যাবে অত্যাধুনিক কিসিং ডিভাইস?

আলোচ্য ডিভাইসটি ব্যবহার করার জন্য, আগ্রহীদের কেবল একটি মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে এবং ডিভাইসটিকে ফোনের চার্জিং পোর্টে প্লাগ করতে হবে। এরপর নিজেদের সঙ্গীকে একটি ভিডিও কল করে চুম্বনের অঙ্গভঙ্গি করলেই হবে ‘অসাধ্য সাধন’!

কিসিং ডিভাইস ও আবিষ্কারের প্রেক্ষাপট

এই ডিভাইসের প্রধান উদ্ভাবক জিয়াং ঝংলি জানিয়েছেন যে নিজের বাস্তব জীবনের লং ডিস্টেন্স রিলেশনশিপ থেকেই এই যন্ত্র আবিষ্কারের অনুপ্রেরণা পান তিনি। গত ২০১৯ সালে জিয়াং এই ডিভাইসের পেটেন্টের আবেদন করেন, চলতি বছরের প্রথমে মানে জানুয়ারিতে সেই পেটেন্টের মেয়াদ শেষ হয়। এখন এই ডিভাইসটি আগ্রহী যে কেউ এটিকে নিয়ে কাজ করতে পারবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে মালয়েশিয়ার একটি সংস্থাও এই একই ধরনের টাচ-সেনসিটিভ সিলিকন প্যাড তৈরি করেছিল। অর্থাৎ এই দুধের স্বাদ ঘোলে থুড়ি চুমুর স্বাদ যন্ত্রের মাধ্যমে মেটানোর প্রয়াস একেবারে নতুন নয়!