করোনার ধাক্কা কাটিয়ে চাঙ্গা গাড়ি বাজার, মুখে হাসি ফুটছে নির্মাতাদের, Maruti, Hyundai দের দুর্ধর্ষ সব মডেল লঞ্চ পুজোর আগে

করোনা অতিমারির কারণে ২০২০-২১ টানা দু’বছর অর্থনীতিতে ঝিমুনির সাক্ষী থেকেছে সকল ভারতবাসী। যার ফলাফল স্বরূপ এদেশের অর্থনীতির অন্যতম বুনিয়াদ গাড়ি শিল্পেও তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছিল। তবে অর্থনীতির চাকা একবার সচল হতেই নয়া উদ্যমে প্রত্যাবর্তন করেছে গাড়ি শিল্প। বিক্রি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। সংস্থাগুলির সংগঠন ফেডারেশন অফ অটোমোবাইল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন বা ফাডা (FADA)-র বক্তব্যে সেই কথা উঠে এল। ফাডা জানিয়েছে যে চলতি বছর পুজোর মরসুমে ধামাকাদার সব গাড়ি লঞ্চ হতে চলেছে। এমনকি নতুন গাড়ি লঞ্চের সংখ্যা বিগত কয়েক বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হওয়ার আশা রাখছে তারা। Maruti Suzuki, Hyundai, Toyota সহ একাধিক সংস্থা তাদের বহু প্রতীক্ষিত গাড়ি হাজির করবে এ বছর।

উক্ত সংস্থাগুলির Grand Vitara, Urban Cruiser HyryderTucson গাড়ি তিনটি লঞ্চের জন্য এক পা বাড়িয়েই রয়েছে। সব ঠিকঠাক চললে সেপ্টেম্বরে একে একে বাজারে পা রাখবে। এই প্রসঙ্গে ফাডার সভাপতি ভিংকেশ গুলাটি জানান, গত বছরের পুজোর মরসুম এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ গিয়েছে। তবে তার আশা এবছরে নতুন গাড়ির প্রতি চাহিদা, পুরনো সমস্ত আক্ষেপ ভুলিয়ে দেবে। তবে বৈদ্যুতিক বাদ দিলে টু-হুইলারের কম বিক্রি একটি চিন্তার বিষয়। তাঁর কথায়, “যদি গত দু’বছরের সাথে তুলনা করা হয়, দেখা যাবে এ বছর উৎসবের সময় দ্বিগুণ সংখ্যক গাড়ি লঞ্চ হতে চলেছে। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি রয়েছে ইলেকট্রিক গাড়ি।”

আবার দিওয়ালির আগে লঞ্চ হতে চলা গাড়িগুলির মধ্যে বেশিরভাগই SUV মডেল বলে জানান গুলাটি। উল্লিখিত তিনটি গাড়ি ছাড়াও সংশ্লিষ্ট সেগমেন্টে আরও একাধিক মডেল দিওয়ালিতে হাজির হতে পারে। এই প্রসঙ্গে গুলাটির বক্তব্য, “লঞ্চ হতে চলা গাড়িগুলির মধ্যে ৯০% হবে এসইউভি। আমরা ডিলারশিপগুলির থেকে অনুসন্ধান করে এ কথা জেনেছি। এগুলির ওয়েটিং পিরিয়ড যে বেশি হবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যা গ্রাহকদের প্রতিবন্ধকতার কারণ। কিন্তু দীর্ঘ ওয়েটিং পিরিয়ড থাকা সত্ত্বেও গ্রাহকরা ডিলারশিপদের সমর্থন করে চলেছে।”

ফাডা সূত্রে জানানো হয়েছে, বর্তমানে ভারতীয় সংস্থাগুলি মাস প্রতি তিন লাখ গাড়ি উৎপাদন করছে। তবে আগামীতে মারুতি সুজুকি, হুন্ডাই মোটর, টাটা মোটরস, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা এবং কিয়া ইন্ডিয়ার মতো পাঁচ বৃহত্তম গাড়ি সংস্থার মাসিক উৎপাদন ৩.৫ লক্ষ ইউনিটে পৌঁছবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে গুলাটির মন্তব্য, “যদি এই সংস্থাগুলির মাসিক উৎপাদনের পরিমাণ তিন লাখও হয়, তবুও গতবারের তুলনায় তারা অনেকটাই এগিয়ে।” অন্যদিকে পেট্রল চালিত দুই চাকার বিক্রিতে সাম্প্রতিক পতন ভাবাচ্ছে সংগঠনটিকে। “নন ইলেকট্রিক টু-হুইলারের চাহিদায় সর্বাধিক হ্রাস ঘটেছে” – বলে জানান গুলাটি। এর নেপথ্যে BS4-এর বদলে BS6 নির্গমন বিধি বাধ্যতামূলক করাকেই দায়ী করেছেন তিনি।