Honda Gold Wing: গাড়ির মতো শক্তিশালী ইঞ্জিন, আছে এয়ারব্যাগও! দেশে 40 লাখের বিরাট বাইক আনল হোন্ডা

দামি মোটরসাইকেলের প্রতি ক্রেতাদের নজর বরাবর। শুধুমাত্র সাধ্যের অভাবে তা হয়তো কেনা হয়ে ওঠে না। কিন্তু দামি হলেও তার একটি সীমা পরিসীমা থাকে। এবার সে সমস্ত কিছু অতিক্রম করার মতো বাইক লঞ্চের ঘোষণা করল হোন্ডা মোটরসাইকেল অ্যান্ড স্কুটার ইন্ডিয়া বা এইচএমএসআই (HMSI)। তাদের ফ্ল্যাগশিপ মোটরবাইক Gold Wing-এর মূল্য একটি বিলাসবহুল এসইউভি গাড়িকেও লজ্জা ধরায়। ভারতে বাইকটির দাম ৩৯.২ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) ধার্য করা হয়েছে। যদি এই উচ্চমূল্যের মডেলটি কেনার সাধ ও সাধ্য থাকে, তবে অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। কারণ আজ থেকেই এর বুকিং গ্রহণ শুরু হয়েছে।

বিশ্বসেরা Honda Gold Wing-এর বৈশিষ্ট্য

হোন্ডার এই ফ্ল্যাগশিপ মোটরসাইকেলটি জাপান থেকে আমদানি করে এদেশে বিক্রি করা হবে। আকাশছোঁয়া দাম হওয়ার এটিও একটি কারণ। সংস্থার বিগউইং ডিলারশিপের মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে এগুলি। বিশ্বমানের প্রযুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে টুরিং মোটরসাইকেল হিসেবে Honda Gold Wing-এর জনপ্রিয়তা বিপুল।

মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরের দামের এই লাক্সারি বাইকটি দুর্দান্ত আর্গোনমিক্স, ফিচার্স, শক্তিশালী ইঞ্জিন অফার করে। ফলে আরামদায়ক রাইডিংয়ের জন্য এটি ব্যবহারকারীদের কাছে অতি ভরসার একটি মডেল। ডাই-কাস্ট, অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেম, ডাবল-উইশবোন ফ্রন্ট সাসপেনশন এবং প্রিলোড অ্যাডজাস্টেবল রিয়ার প্রো-লিঙ্ক মোনোশক সমেত ছুটবে বাইকটি। গানমেটাল ব্ল্যাক মেটালিক কালার সমেত সিঙ্গেল ডিসিটি ভ্যারিয়েন্টে হাজির হয়েছে এটি।

দৈত্যাকার বাইকটির ওজন ৩৯০ কেজি। ফলে এগোতে বা পেছোতে এতে রয়েছে ক্রিপ ফরওয়ার্ড ও ব্যাক ফাংশন। যা হোন্ডা গোল্ড উইং-কে ধীর গতিতে সামনে বা পেছনে চলতে সহায়তা করবে। ইলেকট্রিক টু-হুইলারের রিভার্স মোডের মতোই কাজ করবে এটি।

হোন্ডা গোল্ড উইং-এর ফিচার হিসেবে উপস্থিত অল এলইডি লাইটিং, অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং অ্যাপেল কারপ্লে যুক্ত একটি ৭-ইঞ্চি ফুল কালার টিএফটি ডিসপ্লে, নেভিগেশন, ৪৫-ওয়াট স্পিকার, দুটি ইউএসবি টাইপ-সি সকেট সহ ব্লুটুথ কানেক্ট, টায়ার প্রেসার মনিটরিং সিস্টেম, এয়ারব্যাগ ইত্যাদি। বাতাসের বাধা প্রতিরোধ করতে এতে রয়েছে এক্সটেন্ডেড ইলেকট্রিক স্ক্রিন।

এগিয়ে চলার শক্তি জোগাতে দানবাকৃতি হোন্ডা গোল্ড উইং ট্যুরিং বাইকটিতে ১৮৩৩ সিসি, লিকুইড কুল্ড, ৪-স্ট্রোক, ২৪ ভাল্ভ, ফ্ল্যাট সিক্স-সিলিন্ডার ইঞ্জিন ত্রাছে। এটি থেকে ১২৩ এইচপি ও ১৭০ এনএম টর্ক পাওয়া যাবে। সঙ্গে ৭-স্পিড ডুয়েল ক্লাচ অটোমেটিক ট্রান্সমিশন উপলব্ধ। এই জাতীয় গিয়ারবক্স সাধারণত প্রিমিয়াম গাড়ি ও এসইউভি-তে দেখা যায়। এছাড়া এতে রয়েছে থ্রটেল-বাই-ওয়্যার সহ চারটি রাইডিং মোড – টুর, স্পোর্ট, ইকন এবং রেইন।