Self Verification: নয়া ফিচার চালু করে বিশ্ব দরবারে নজির গড়ল দেশীয় মাইক্রো-ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম Koo

প্রতিযোগিতার এই বাজারে নিজের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ট্যাগটিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে এবার সেল্ফ-ভেরিফিকেশন (Self Verification) ফিচার চালু করল দেশীয় মাইক্রো-ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম Koo (কু)। এর মাধ্যমে, প্ল্যাটফর্মটি সেল্ফ-ভেরিফিকেশন ফিচার প্রবর্তনকারী বিশ্বের প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। সেক্ষেত্রে যেকোনো ইউজার এখন সরকার-অনুমোদিত পরিচয়পত্র ব্যবহার করে নিমেষেই প্ল্যাটফর্মে তাদের প্রোফাইল ভেরিফাই করতে পারবেন। Koo-এর মতে, ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যাচাই করা হবে।

কীভাবে Koo-এর সেল্ফ-ভেরিফিকেশন করবেন?

এর জন্য আগ্রহী ইউজারদের প্ল্যাটফর্মের নির্দিষ্ট সেকশনে সরকারী আইডি কার্ডের নম্বর লিখতে হবে এবং ফোন নম্বর এন্ট্রি করতে হবে। তারপর ফোনে আসা ওটিপি লিখলেই মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে অ্যাকাউন্টটি যাচাই করা হবে। তবে কু, যাচাইকরণ সম্পর্কিত কোনো তথ্য সংরক্ষণ করবে না।

ইউজাররা ভেরিফায়েড গ্রীন টিক পাবেন

টুইটারের বিকল্পটি জানিয়েছে যে, সেল্ফ-ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার পর কোনো ইউজারের অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড বোঝাতে গ্রীন অর্থাৎ সবুজ টিক ব্যবহার করা হবে। সেক্ষেত্রে এই নতুন বৈশিষ্ট্যটি চালু করার বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কু-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও অপ্রমায়া রাধাকৃষ্ণ অত্যন্ত গর্ব প্রকাশ করেছেন।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, সেল্ফ-ভেরিফিকেশনের সময় ইউজারদের মনে নানাবিধ প্রশ্ন আসতে পারে। এর মধ্যে কয়েকটি সাধারণ প্রশ্নের উত্তর কু ইতিমধ্যেই দিয়েছে। এগুলি হল –

১. Koo অ্যাপ কি কোনো ব্যবহারকারীর তথ্য সঞ্চয় করে?

– না, এই অ্যাপ ইউজার সম্পর্কিত কোনো তথ্য সংরক্ষণ করে না। তথ্য যাচাই করতে সরকার অনুমোদিত থার্ড পার্টি সার্ভিস ব্যবহার করা হয়।

২. ভেরিফিকেশনের পরে কি ইউজারের পরিচয়পত্রের বিশদ বিবরণ Koo অ্যাপে প্রদর্শিত হবে?

– না, এটি শুধুমাত্র ইউজারদের সত্যতা যাচাই করতে ব্যবহৃত হয়।

৩. অন্য ব্যবহারকারীরা কি আমার নাম এবং পরিচয়পত্র সম্পর্কে জানতে পারবে?

– না, ব্যবহারকারীর প্রোফাইলের বিবরণ ভেরিফিকেশনের আগে যেমন ছিল তেমনই থাকবে।

৪. Koo অ্যাপে সরকার অনুমোদিত পরিচয়পত্রের বিবরণ প্রবেশ করা কি নিরাপদ?

– হ্যাঁ, Koo অ্যাপের সেল্ফ-ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া নিরাপদ।