Maruti থেকে Tata, 2023 সালেই লঞ্চ হতে চলেছে এই 5 বহু প্রতীক্ষিত গাড়ি

২০২৩ এর প্রথম চারটি মাসের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য গাড়ির লঞ্চ হওয়ার সাক্ষী থেকেছে ভারত। যার মধ্যে নিউ জেনারেশন Hyundai Verna, Maruti Suzuki Fronx, Honda City Facelift, MG Comet EV এর নাম সর্বাগ্রে। তবে এখানেই শেষ নয় এই বছরের বাকি মাসগুলিতে এমন আরও একাধিক চার চাকা লঞ্চ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। মারুতি সুজুকি থেকে টাটা মোটরস এই তালিকায় রয়েছে দেশী-বিদেশী সবাই। আবার এর মধ্যে কয়েকটির এক ঝলক প্রদর্শন ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে তার নির্মাতা। চলুন দেখে নেওয়া যাক আগামী দিনগুলিতে কোন কোন সেরা মডেল ঝড় তুলতে চলেছে এদেশের রাস্তায়।

Maruti Suzuki Jimny

বহুদিন ধরেই ভারতবাসী যার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে সেই পাঁচ দরজা যুক্ত মারুতি সুজুকি জিমনি অবশেষে লঞ্চ করতে চলেছে এই মাসেই। গত জানুয়ারিতে ভারতবর্ষে অনুষ্ঠিত অটো এক্সপো-তে এই এসইউভি গাড়িটির প্রদর্শনের পর থেকেই উৎসাহী ক্রেতাদের জন্য এর অগ্রিম বুকিং চালু করেছিল মারুতি। এমনকি গত এপ্রিল থেকেই এর উৎপাদনের কাজও পুরো দমে শুরু করেছে তারা। আর কয়েক দিনের মধ্যেই এর দাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। মারুতি সুজুকি জিমনি কে এগিয়ে চলার শক্তি যোগায় ১.৫ লিটারের K15B পেট্রোল চালিত ইঞ্জিন যা থেকে ১০৫ বিএইচপি শক্তি এবং ১৩৪ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। ইঞ্জিনের সঙ্গে ফাইভ স্পিড ম্যানুয়াল এবং ফোর স্পিড টর্ক কনভার্টার অটোমেটিক গিয়ার বক্স উপলব্ধ রয়েছে। জেটা এবং আলফা এই দুটি ভ্যারিয়েন্টে কিনতে পাওয়া যাবে জিমনি। মোটামুটি ভাবে গাড়িটির এক্স শোরুম মূল্য ১২ লাখ টাকা থেকেই শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Maruti Suzuki Engage

বিগত কয়েক বছর ধরেই টয়োটার (Toyota) সঙ্গে হাত মিলিয়ে যৌথভাবে বেশ কিছু মডেল লঞ্চ করেছে মারুতি সুজুকি। আগামী জুলাই মাসে টয়োটার তৈরি মাল্টিপারপাস ভেহিকেল- Innova Hycross এর উপর ভিত্তি করে Engage লঞ্চ করতে চলেছে মারুতি। টয়োটা ইনোভা হাইক্রস গাড়িটিতে ব্যবহৃত প্লাটফর্ম, ইঞ্জিন সহ বেশিরভাগ ফিচার সরাসরি ধার নেওয়া হয়েছে মারুতির এই গাড়িতে। এনগেজ এর বাইরের অংশে সামান্য কিছু পরিবর্তন করা হলেও অন্দরমহল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপরিবর্তিত থাকবে। বদলাবে শুধু মারুতি সুজুকির লোগো। প্রিমিয়াম এমপিভি সেগমেন্টের এই গাড়িটি লঞ্চ হওয়ার পর ভারতের বাজারে মারুতি সুজুকির পোর্টফোলিতে থাকা সবকটি মডেলের মধ্যে এটির দাম হবে সর্বোচ্চ।

Tata Nexon Facelift

এই মুহূর্তে আমাদের দেশের সাবকম্প্যাক্ট এসইউভি লাইনে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া মডেল হলো টাটা নেক্সন। অতি শীঘ্রই এর ফেসলিফট সংস্করণ দেখতে পাবো আমরা। আপডেটেড মডেলটি ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক ঝলক দেখা দিয়েছে ভারতের বিভিন্ন রাস্তায়। টেস্টিং করার মডেলটি সম্পূর্ণ কেমোফ্লেজে আবৃত থাকলেও ডিজাইনের সামান্য কিছু পরিবর্তন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। কেবিনের ভেতরে পরিবর্তন বলতে দুই স্পোক যুক্ত স্টিয়ারিং হুইল, নতুন ফুল ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, আগের তুলনায় বড় ইনফোটেনমেন্ট ডিসপ্লে, সংযুক্তিকরণ বৈশিষ্ট্য সহ বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে। মনে করা হচ্ছে যে নতুন টাটা নেক্সনে ১.২ লিটারের tGDi পেট্রোল ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে যা থেকে ১২৫ বিএইচপি শক্তি এবং ২২৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। সঙ্গে সিক্স স্পিড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন সহ DCT গিয়ার বক্স উপলব্ধ রয়েছে।

Hyundai Exter

টাটা পাঞ্চ এর যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আগামী আগস্টে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে মাইক্রো এসইউভি সেগমেন্টের নতুন সদস্য- Hyundai Exter। এই গাড়িটি Grand i10 Nios এ ব্যবহৃত একই প্লাটফর্ম এর উপরেই নির্মাণ করা হয়েছে। চালিকা শক্তি যোগাবে ১.২ লিটারের কাপ্পা পেট্রোল ইঞ্জিন। যদিও অধিক পারফরম্যান্স প্রদানকারী ১.০ লিটারের tGDi পেট্রোল মডেলও দেখতে পাওয়া যাবে। এমনকি এর সিএনজি সংস্করণ আসার সম্ভাবনাও প্রবল।

Tata Altroz ও Punch (CNG)

মারুতি সুজুকির মত নিজেদের ঝুলিতে আরও অধিক সংখ্যক সিএনজি গাড়ি যোগ করতে তৎপর টাটা মোটরস। ইতিমধ্যেই ২০২৩ এর অটো এক্সপো ইভেন্টে টাটা আল্ট্রোজ এবং পাঞ্চ এই দুটি মডেলে সিএনজি কিট লাগানো সংস্করণ প্রদর্শন করেছে। আর মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে আল্ট্রোজ সিএনজি। তবে পাঞ্চ সিএনজি লঞ্চ করতে সময় লাগবে আরো দুই থেকে তিন মাস। এই নতুন সিএনজি মডেলগুলিতে এক অভিনব পদ্ধতি নিয়ে এসেছে টাটা। সিএনজি মডেলে পিছনের বুট স্পেস কম খরচ করতে একটি বড় সিলিন্ডারের বদলে দুটি ছোট সিলিন্ডার (এক একটি ৩০ লিটারের) যোগ করা থাকবে এই গাড়িতে।