বিপাকে এই স্কুল! জুন মাস পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ না রাখলে বিকৃত ছবি ইন্টারনেটে ছাড়ার হুমকি হ্যাকারের

এক বছরেরও বেশি সময় কেটে গেছে, কিন্তু স্কুল বা কলেজের পড়ুয়াদের পঠনপাঠন জারি রাখতে এখনো নির্ভর করতে হচ্ছে বিভিন্ন ভার্চুয়াল মাধ্যমের ওপর। একইভাবে অনলাইন ক্লাসের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে Zoom, Teamlink কিংবা Google Meet-এর মত অ্যাপ্লিকেশনগুলিও। কিন্তু এবার, এই অনলাইন ক্লাস চলাকালীনই গুজরাটের একটি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা পড়েছে বিশ্রী অস্বস্তির মুখে! রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বুধবার আনন্দ নিকেতন নামের একটি স্কুলের অনলাইন ক্লাস চলার সময় তাদের Zoom মিটিংয়ে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ঢুকে পড়ে এবং সমস্ত অংশগ্রহণকারীদের বিকৃত ছবি সম্বলিত একটি লিঙ্ক শেয়ার করে। শুধু তাই নয়, আগামী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ অবধি ক্লাস বন্ধ না রাখলে, ওই সমস্ত ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয় ওই ব্যক্তি।

গোটা বিষয়টি নিশ্চিত করে স্কুলের অধ্যক্ষ বিনু টমাস জানিয়েছেন, ঘটনার দিন হ্যাকার জাতীয় কোনো ব্যক্তি দ্বাদশ শ্রেণির একটি জুম সেশনে কোনোভাবে ঢুকে পড়ে, যেখানে ১০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। তবে সেশনে প্রবেশ করে ব্যক্তিটি নিজের ভিডিওতে স্যুইচ না করলেও চ্যাট সেকশনে মন্তব্য করতে বা অযাচিত লিঙ্ক শেয়ার করতে শুরু করে। ঘটনাটি দেখে সেই ক্লাসের শিক্ষক তৎক্ষণাৎ ক্লাসটি বন্ধ করে দেন। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ সাইবার ক্রাইম সেলকে বিষয়টি জানালে তারা লিঙ্কটি নিষ্ক্রিয় করে দেয়। তাছাড়া স্কুলের তরফে প্রথম শ্রেণী থেকে শুরু করে সমস্ত গ্রেডের জুম আইডিও পরিবর্তন করা হয়েছে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

তবে বিব্রতকর বিষয় এটাই যে, এখনো পর্যন্ত ক্লাসে বিঘ্ন ঘটানো ওই ব্যক্তিকে ট্র্যাক করা যায়নি। অপরাধী ডার্ক ওয়েবের সাহায্যে এই কুকীর্তি সাধন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্ট, অভিযুক্ত/অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অন্যান্য প্রিমিয়ার এজেন্সি বা প্রাইভেট হ্যাকারদের সাহায্য নিতে বাধ্য হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, আনন্দ নিকেতন স্কুলের জন্য এই ঘটনা মোটেও নতুন নয়। এর আগে, সেপ্টেম্বর মাসে ওই স্কুলে একটি হুমকি যুক্ত ইমেল আসে যেখানে মেল প্রেরক, ওই সময় স্কুলে মিড টার্ম অনুষ্ঠিত হলে ছাত্রীদের মর্ফড ছবি আপলোড করার কথা বলে। পরে, ডিসেম্বরে দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির প্রিলিম পরীক্ষার বাতিল করার দাবি নিয়ে ফের এরকমই একটি হুমকি ইমেল আসে। এই দুই ঘটনাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ উল্লিখিত পরীক্ষাগুলি বাতিল করতে বাধ্য হয়।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন