সরকার Apple ও Samsung কে দিল 4400 কোটি টাকা, দাম কমবে ফোনের?

ভারত সরকার মোবাইল ফোনে ৬ শতাংশ বর্ধিত জিএসটি থেকে গত তিন বছরে ৪২ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা লাভ করেছে, যা বর্তমান পিএলআই-এ বিনিয়োগ করা অর্থের সমান।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার পিএলআই (PLI) স্কিমের অধীনে Apple এবং Samsung-এর মতো টেক সংস্থাগুলিকে ৪,৪০০ কোটি টাকা প্রদান করেছে। তবে এই অর্থ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলিকে অহেতুক দান করা হয়নি। এর পিছনে সরকারের বৃহৎ যোজনা লুকিয়ে আছে। সরকারের মতে এই প্রকল্পের ফলে সাধারণ মানুষ যথেষ্ট লাভবান হবেন। আর দেশের অর্থনীতিতেও বড়সড় পরিবর্তন আসবে। তবে মনে প্রশ্ন জাগতে এই পিএলআই (PLI) স্কিমটি কি? আর এর দ্বারা কিভাবেই বা সাধারণ মানুষ লাভবান হবেন? আর এই সকল প্রশ্নের উত্তর পেতে গেলে পড়তে হবে এই প্রতিবেদনটি।

সরকারের মতে, পিএলআই (PLI) স্কিমের মাধ্যমে ভারতে বৃহৎ পরিসরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি, এর মাধ্যমে ভারতের অর্থনীতিও লাভবান হবে। আর আগাম ভবিষ্যতে ফোনের দাম তুলনামূলকভাবে কমতে পারে। ইটির একটি রিপোর্ট অনুসারে, ভারত সরকার মোবাইল ফোনে ৬ শতাংশ বর্ধিত জিএসটি থেকে গত তিন বছরে ৪২ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা লাভ করেছে, যা বর্তমান পিএলআই-এ বিনিয়োগ করা অর্থের সমান। এছাড়াও, এই স্কিমের কারণে ইতিমধ্যেই ভারতে একাধিক কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হয়েছে এবং অর্থনীতির উন্নতি ঘটেছে।

Apple এর তিনটি কন্টাক্ট ম্যানুফ্যাকচার যথা, ফক্সকন, উইসট্রন এবং পেগাট্রন সহ Samsung এবং দেশীয় ইলেকট্রনিক কোম্পানি ডিক্সন টেকনোলজিকে ২০২৩ সালের আর্থিক বছরে প্রোডাকশন লিঙ্ক ইনিশিয়েটিভ অর্থাৎ পিএলআই স্কিমের অধীনে স্মার্টফোন তৈরি করার জন্য ৪,৪০০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চুক্তি অনুযায়ী স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থার শাওমি (Xiaomi) স্কিম প্রদত্ত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০২১ সালের আর্থিক বছরে পিএলআই স্কিমের সুবিধা পায়নি। এছাড়াও, লাভার (Lava) মতো ভারতীয় কোম্পানিগুলিও পিএলআই স্কিমের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে না পাড়ায় এই স্কিমের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

ইটি রিপোর্ট অনুসারে, পাঁচটি বৈশ্বিক সংস্থার মধ্যে চারটি এই আর্থিক বছরে পিএলআই-এর লক্ষ্য পূরণে সফল এবং সবথেকে বেশি লাভবান হয়েছে Apple এবং Samsung। আর এখনো পর্যন্ত এর অধীনে সরকার Samsung-কে ৮০০ কোটি টাকা এবং Apple সহ তার তিনটি ম্যানুফ্যাকচারিং সংস্থাকে ১৭০০ থেকে ২০০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে।

উল্লেখ্য, পিএলআই-এর কারণে এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোবাইল ফোন রপ্তানি ১০.৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আর ইন্ডিয়া সেলুলার এন্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশনের অনুমান অনুসারে, চলতি আর্থিক বছরের শেষ নাগাদ মোবাইল ফোনের রপ্তানি ১৪ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে।