Cyber Helpline: ফোনে ইন্টারন্যাশনাল কল আসছে? হ্যাকারদের থেকে বাঁচতে ডায়াল করুন এই নম্বরে

মোবাইলে অচেনা নম্বর থেকে ফোন কল আসা আশ্চর্যের কিছু নয়; আমাদের এই ফোন নির্ভর জীবনে মাঝে মধ্যেই পরিচিত কেউ নতুন নম্বর নিয়ে কল করেন, আবার বিভিন্ন কোম্পানি যে নম্বর থেকে কল করে তা আমাদের কাছে ‘আননোন’! ফলে যারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তারা কমবেশি প্রত্যেকেই এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু চলতি সময়ে সাইবার জালিয়াতির পরিমাণ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে শুধু প্রয়োজনে নয়, বরঞ্চ অচেনা নম্বর থেকে ভুয়ো কল আসার ঘটনা প্রতিনিয়তই উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রে সামান্য মোবাইলের কল রিসিভ করলেও কিন্তু ইউজাররা নিজেদের জন্য ভয়ঙ্কর রকমের বিপদ ডেকে আনতে পারেন, আর সেই কারণেই সম্প্রতি গ্রাহকদের সচেতন করার জন্য এক বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশন বা DoT (ডট)।

হঠাৎ কেন এবং কী নির্দেশিকা জারি করেছে DoT?

এমনিতে ল্যান্ডফোনের জমানা কাটিয়ে মোবাইল ফোনের দুনিয়ায় প্রবেশ করা মাত্রই প্র্যাঙ্ক কল বা স্প্যাম কলের সংখ্যা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে এবং কমবেশি প্রায় সকলেই এখন এই ধরনের কল পেয়ে থাকেন। তাহলে হঠাৎ কেন আচমকা ডটের তরফে সতর্ক বার্তা দেওয়া হচ্ছে? আসলে হালফিলে ইউজারদের কাছে এমন কিছু আন্তর্জাতিক কল আসছে, যেগুলি রিসিভ করলে মানুষ কার্যত সর্বস্বান্তও হতে পারেন। তাই এই ধরনের প্রতারণামূলক কল থেকে গ্রাহকদের রক্ষা করতেই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ডট।

ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশনের তরফে বলা হয়েছে যে, অনেক সময় আন্তর্জাতিক কলের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের ফোনের স্ক্রিনে ইন্টারন্যাশনাল কলিং কোডযুক্ত কোনো অচেনা নম্বর কিংবা ‘নো নম্বর’ দেখা যেতে পারে। তাই তারা যেন ভারতীয় কোড অ্যাটাচ করা নেই এমন কলগুলি এড়িয়ে যান। কারণ এই ধরনের কল দুর্ঘটনাবশত রিসিভ করে ফেললেই গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকারদের হাতে চলে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে; আর এর ফলস্বরূপ ইউজারদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট গড়ের মাঠ হয়ে যেতে পারে!

এই নম্বরে DOT-কে ফোন করলেই হবে মুশকিল আসান

এছাড়া ডট বলেছে যে, ফোনে এরকম কল এলে গ্রাহকরা যেন বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে অবিলম্বে ১৮০০১১০৪২০ বা ১৯৬৩ নম্বরে কল করে ডটকে রিপোর্ট করেন। এগুলি টোল ফ্রি নম্বর, যাতে গ্রাহকরা নিজেদের অভিযোগ জানালেই টেলিকম কোম্পানিগুলি এই ধরনের অবৈধ ফোনগুলির উৎসস্থল খুঁজে বের করতে পারবে এবং সেইসাথে গ্রাহকরাও হ্যাকারদের পাতা ফাঁদ থেকে নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।

চোখকান খোলা না রাখলে বাঁচার কোনো পথ নেই

বর্তমানে অসৎ কার্যকলাপ করা থেকে হ্যাকারদের আটকানোর যেহেতু কোনো উপায় নেই, তাই সুরক্ষিত এবং নিরাপদ থাকতে হলে নিজেদেরকেই সজাগ থাকতে হবে। নিত্যদিনই বিভিন্ন ধরণের সাইবার জালিয়াতির ফাঁদ পেতে চলেছে এক শ্রেণীর মানুষ, সেক্ষেত্রে চলতি সময়ে তাদের হাত থেকে বাঁচতে হলে চোখকান খোলা রাখার পাশাপাশি যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করে চলাই শ্রেয়।