ইলেকট্রিক গাড়ির চার্জিং স্টেশনে অচিরাচরিত শক্তি থেকে বিদ্যুৎ আসবে, বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে এগিয়ে এল Charge Zone

বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশন বসানোর অন্যতম সংস্থা চার্জ জোন (Charge Zone)। গতকাল তারা হাই স্পিড চার্জিং নেটওয়ার্ক তৈরিতে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে। পরিবেশ…

বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশন বসানোর অন্যতম সংস্থা চার্জ জোন (Charge Zone)। গতকাল তারা হাই স্পিড চার্জিং নেটওয়ার্ক তৈরিতে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে। পরিবেশ দূষণ কমিয়ে বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে বৈদ্যুতিক যানবাহন ব্যবহার বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু সেই খনিজ তেল বা  কয়লা পুড়িয়ে তৈরি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে চার্জিং স্টেশনগুলিতে। বস্তুত দূষণের হাত থেকে নিস্তার পাচ্ছে না বায়ুমণ্ডল। এখানেই নবায়নযোগ্য শক্তির গুরুত্ব। এবারে ইলেকট্রিক বাস এবং বাণিজ্যিক গাড়ি চার্জের জন্য শুধু অচিরাচরিত শক্তি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ তাদের চার্জিং স্টেশনগুলিতে নেবে চার্জ জোন।

এদিকে সম্প্রতি নীতি আয়োগ (NITI Aayog) এবং সিইএসএল (CESL) বাজারে ৫০,০০০ ইলেকট্রিক বাস নামানোর কথা ঘোষণা করেছে। যা বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্পে চার্জিং পরিকাঠামো উন্নয়নে ৫০ কোটি ডলার বা প্রায় ৩,৯৮২ কোটি বিনিয়োগ আনবে। দেশের ইভি ইকোসিস্টেম মজবুত করার লক্ষ্যে সরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে বা নিজে উদ্যোগে কাজ করছে নানা প্রতিষ্ঠান। তাদের মধ্যে অন্যতম গুজরাতের ভাদোদরার চার্জ জোন এই দশকের মধ্যে মধ্যে দেশে ১০ লাখ চার্জিং পয়েন্ট গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে। 

চার্জ জোন জানিয়েছে, ৬৫০-র বেশি চার্জিং স্টেশনে তারা ১,৪৫০ এর উপরে চার্জিং পয়েন্ট বসিয়েছে। যেখান থেকে প্রতিদিন ৫,০০০-এর অধিক বৈদ্যুতিক গাড়ি পরিষেবা পায়। এই উদ্যোগের আওতায় সংস্থাটি পাটনায় Ashok Leyland-এর ইলেকট্রিক বাসের জন্য তাদের প্রথম ২০০ কিলোওয়াট সোলার রুফটপ যুক্ত চার্জিং স্টেশন বসিয়েছে।

আর তিন বছরের মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ি দ্রুত চার্জ করার লক্ষ্যে ৫ হাজার ফাস্ট ডিসি চার্জিং স্টেশন গড়ে তুলবে চার্জ জোন। আমেদাবাদ, চন্ডিগড়, পাটনা, লক্ষৌ-সহ আরও বেশ কিছু  শহরে সংস্থার দ্রুত চার্জ দেওয়ার ইভি স্টেশন বর্তমান। প্রসঙ্গত, ম্যারিয়ট হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথেও গাঁটছড়া বেঁধেছে তারা৷ ম্যারিয়টের একশোর বেশি হোটেলে চলতি বছর শেষ হওয়ার আগে ফাস্ট চার্জার ইন্সটল করবে সংস্থাটি।