আমজনতার জন্য Honda আনছে 100 সিসির সস্তা বাইক, Hero Splendor-কে কড়া টক্কর

এদেশের মোটরসাইকেলের বাজার মূলত কমিউটার বাইকের উপর ভিত্তি করেই রচিত তা কিন্তু হিরো মটোকর্পের (Hero MotoCorp) মতো ভারতীয় সংস্থা অনেক আগেই উপলব্ধি করেছে। যে কারণে…

এদেশের মোটরসাইকেলের বাজার মূলত কমিউটার বাইকের উপর ভিত্তি করেই রচিত তা কিন্তু হিরো মটোকর্পের (Hero MotoCorp) মতো ভারতীয় সংস্থা অনেক আগেই উপলব্ধি করেছে। যে কারণে এই সেগমেন্টে বরাবরই নিজের শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা ধরে রেখেছে তারা। তবে দেশের স্কুটার মার্কেটে প্রথম স্থান কিন্তু জাপানের সংস্থা হোন্ডার (Honda) একচেটিয়া রাজত্বের সাক্ষী। কারণ এদেশে বিক্রি হওয়া সমস্ত স্কুটারের মধ্যে নিঃসন্দেহে এক নম্বরে রয়েছে তাদের অ্যাক্টিভা। এমনকি প্রতিমাসে বিক্রি হওয়া হোন্ডার বিক্রির ৫০ শতাংশ আসে অ্যাক্টিভা থেকে।

স্কুটারের দুনিয়ায় অ্যাক্টিভা এতটাই প্রভাব বিস্তার করেছে যে তাকে বাদ দিয়ে প্রথম দশে থাকা বাকি নয়টি স্কুটারের মিলিত মডেল সংখ্যার প্রায় সমান সংখ্যক মডেল বিক্রি হয় হোন্ডার এই জনপ্রিয় স্কুটারটির খাতায়। এবার মোটরসাইকেলের জগতে ১০০ সিসির বিভাগে হিরো মটোকর্পের কম বাজেটের স্প্লেন্ডার (Splendor) সিরিজের বাইকের অসম্ভব জনপ্রিয়তায় থাবা বসাতে আসছে জাপানের এই সংস্থা। শহর ছাড়িয়ে মফস্বল কিংবা গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষের কাছে প্রতিদিনের রুটি রুজির তাগিদে ব্যবহার করার জন্য আজ ১০০ সিসির নতুন বাইক লঞ্চ করতে চলেছে হোন্ডা মোটরসাইকেল এন্ড স্কুটার ইন্ডিয়া (HMSI)।

বর্তমানে সংস্থার হাতে থাকা ১১০ সিসির ইঞ্জিন যুক্ত বাইক দুটি হল CD 110 Dream এবং Livo। অন্যদিকে এর ঠিক পরেই রয়েছে Honda Shine এবং SP 125। এই দুটি বাইকের ক্ষেত্রেই রয়েছে ১২৫ সিসির ইঞ্জিন। অন্যদিকে এর প্রধান প্রতিপক্ষ হিরোর হাতে ১০০ সিসির প্লাটফর্মের (৯৭.২ সিসি) উপর নির্মিত বাইকগুলি হল- HF Deluxe ও Splendor Plus, যা এই মুহূর্তে এদেশের সর্বোচ্চ বিক্রি হওয়া মোটরসাইকেল এর মধ্যে একটি।

প্রসঙ্গত, হোন্ডা ইতিমধ্যেই তাদের আগত নতুন ১০০ সিসির এই বাইকের প্রথম অফিসিয়াল টিজার প্রকাশ করেছে। ৩০ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে জনপ্রিয় অভিনেতা Jimmy Sheirgill-কে। এখানে মূলত গ্রামাঞ্চলের ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখেই সেই রকম একটি মেলার দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

বর্তমানে হোন্ডার ১২৫ সিসির প্লাটফর্মের উপর তৈরি Shine এবং SP125 বাইক দুটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ১২৪ সিসির শক্তিশালী ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনটি থেকে উৎপাদিত পাওয়ার ও টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ১০.৬ বিএইচপি এবং ১১ এনএম। সাইন এর ক্ষেত্রে চার স্পিড গিয়ার বক্স থাকলেও দ্বিতীয় বাইকটিতে রয়েছে পাঁচ ধাপযুক্ত ট্রান্সমিশন সিস্টেম। বাস্তব ক্ষেত্রে দুটি বাইকেই প্রতি লিটার পেট্রোলে প্রায় ৬০ কিমি পর্যন্ত চলতে পারে।

অন্যদিকে হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস এবং এইচএফ ডিলাক্স বাইক দুটিতে ৮ বিএইচপি শক্তি এবং ৮.০৫ এনএম টর্ক উৎপাদনকারী ৯৭.২ সিসির ইঞ্জিন চালিকাশক্তি যোগায়। সাথে রয়েছে চার ধাপযুক্ত গিয়ার বক্স। এই ইঞ্জিনটি থেকে মোটামুটি ভাবে ৬৫কিমি/লিটারের অতিরিক্ত মাইলেজ মেলে যা প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী অতি সাধারণ বাইক ব্যবহারকারীর কাছে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এই কারণেই গ্রামাঞ্চলের বাজারে এমন কমিউটার বাইকের তুলনায় ১২৫-১৫০ সিসির পারফর্মেন্স প্রধান বাইকের জনপ্রিয়তা অনেকটাই কম।

হোন্ডার আগত এই ১০০ সিসির বাইকটি থেকে পাওয়া শক্তি এবং টর্ক অনেকটাই হিরোর বাইক দুটির মতোই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে এই নতুন বাইকের দাম বেশ অ্যাগ্রেসিভ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তাই আগামীতে হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস ও এইচএফ ডিলাক্স এর পাশাপাশি বাজাজ প্লাটিনার সাথে লড়াই জমিয়ে দেওয়ার মত ক্ষমতা নিয়েই বাজারে আসছে হোন্ডার এই নতুন বাইক।