আবারও জরিমানার মুখে Meta, ডেটা সুরক্ষা লঙ্ঘনের জন্য দিতে হবে রোজ ৮২ লাখ টাকা

বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ইউজারের সুরক্ষার প্রসঙ্গে Facebook, Instagram-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি সবসময় সক্রিয় থাকে বলে দাবি করে। কিন্তু তার সত্ত্বেও বারংবার এগুলির কোনো না…

বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ইউজারের সুরক্ষার প্রসঙ্গে Facebook, Instagram-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি সবসময় সক্রিয় থাকে বলে দাবি করে। কিন্তু তার সত্ত্বেও বারংবার এগুলির কোনো না কোনো ত্রুটি কিংবা ডেটা সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির কথা সামনে আসে। এমনকি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলি জরিমানা এবং অন্যান্য শাস্তির মুখেও পড়েছে। সেক্ষেত্রে নরওয়ের ডেটা প্রোটেকশন অথরিটি গতকাল অর্থাৎ সোমবার যে ঘোষণা করেছে তার জেরে Facebook, Instagram-এর মূল মালিক সংস্থা Meta-র বিরুদ্ধে ফের জরিমানা লাগু হতে পারে। আসলে এই সোশ্যাল মিডিয়া ফার্মটির ওপর ফের নিরাপত্তা বা গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে, এই কারণেই নরওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের মোটা জরিমানার শাস্তি পারে। বলা হচ্ছে যে, Meta কোম্পানি যদি তাদের দোষ না শোধরায় তাহলে তাদের প্রতিদিন ১ লক্ষ ডলার (ভারতীয় মূল্যে ৮২ লক্ষ টাকা) খেসারত দিতে হবে।

প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে Meta-কে

নরওয়ে ডেটা প্রোটেকশন অথরিটির ঘোষণা অনুযায়ী, মেটা বিজ্ঞাপনের জন্য নরওয়েতে ইউজারের ফিজিক্যাল লোকেশনের মতো তথ্য অ্যাক্সেস করে, যা ওই দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অবৈধ। তাই অথরিটি বলেছে যে, অবিলম্বে মেটা ব্যবস্থা না নিলে আগামী ৪ঠা আগস্ট থেকে ৩রা নভেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিকে প্রতিদিন জরিমানা দিতে হবে।

এই বিষয়ে ডেটাটিলসনেট (Datatilsnet) মানে নরওয়ে ডেটা প্রোটেকশন অথরিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান টোবিয়াস জুডিন বলেন যে, মেটার কাজকর্ম সম্পূর্ণ বেআইনি, তাই অবিলম্বে তাঁদের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ আর অপেক্ষা না করে সংস্থাটির ওপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে। এমনকি ইউরোপীয় বোর্ডের সম্মতি পেলে মেটার জরিমানা স্থায়ী হতে পারে।

কী বলছে Meta?

ইউজারদের নিরাপত্তা তথা ডেটা সুরক্ষা সম্পর্কে মেটা যে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগে পরিণত হচ্ছে, তাতে সন্দেহ নেই। তবে সংস্থাটি ডেটাটিলসনেটের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পর্যালোচনা করবে বলে জানিয়েছে। এর পাশাপাশি তাদের পরিষেবাগুলিতে বর্তমানে কোনো প্রভাব পড়বেনা বলেও আশ্বাস দিয়েছে মেটা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে গোপনীয়তার বিষয় নিয়েই ইউরোপীয় ইউনিয়নের নজরে আছে মার্ক জুকারবার্গের কোম্পানিটি।