ট্রাই কিছুদিন আগে একটি নতুন নিয়ম নিয়ে এসেছিল যেখানে টেলিকম গ্রাহকদের ১০০ টি এসএমএস বিনামূল্যে করতে দেওয়ার পর পরবর্তী এসএমএসের জন্য ৫০ পয়সা করে প্রত্যেকটি এসএমএস পিছু চার্জ করা হতো। সম্প্রতি ট্রাই এই নিয়মটি তুলে দিতে চলেছে। ট্রাই এর বক্তব্য, এই ট্যারিফ রেগুলেশন রুল গ্রাহকদের এসএমএস করার প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দিতে পারে। এই কারণে এই নিয়মটিকে সম্পূর্ণরূপে তুলে দেওয়া হল। ট্যারিফ ফর্বেয়ারেন্স ব্যবস্থাকে মজবুত করার উদ্দেশ্যে ট্রাই দ্বারা এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এই নিয়ম তুলে দেওয়ার ফলে, বাণিজ্য সংস্থা ছাড়া অন্যান্য গ্রাহকদের এসএমএস পাঠানোর ক্ষেত্রে এবার থেকে টেলিকম সংস্থাগুলি আলাদা আলাদা চার্জ নির্ধারণ করতে পারবে। টেলিকম ট্যারিফ অর্ডার ২০১২ অনুযায়ী এবার থেকে অনেকগুলো এসএমএস পাঠানোর পরে বেশি চার্জ করা হতে পারে। এর আগে এই নিয়মটি চালু করার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিরক্তিকর টেলিমার্কেটারদের টেক্সট মেসেজ বন্ধ করা।
ট্রাই ইতিমধ্যেই টেলিকম কোম্পানিগুলিকে এই নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছে যে, তাদেরকে নিজেদের প্রোডাক্টের মার্কেটিং করতে গেলে এবং কমার্শিয়াল কমিউনিকেশন শুরু করতে হলে এবার থেকে গ্রাহকের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। এছাড়াও এই ধরনের ফোন কল যেন সম্পূর্ণ অথরাইজড টেলিমার্কেটাররাই করতে পারেন সেই দিকে এখন ট্রাই লক্ষ্য দিয়েছে। এর জন্য টেলিকম বডি ইতিমধ্যেই ব্লকচেইন টেকনোলজির ব্যবহার করছে।
প্রত্যেক টেলিকম অপারেটর যেমন এয়ারটেল, ভোডাফোন এবং রিলায়েন্স জিও ট্রাইকে অনুরোধ করেছে যেন ভুয়ো এসএমএস পাঠানোর সময় ৫০ পয়সার নিয়মটিকে চালু রাখা হয়। এরফলে বিরক্তিকর টেলিমার্কেটাররা আর কোন গ্রাহককে মেসেজ করতে পারবে না। টেলিকম অপারেটর বডির ডাইরেক্টর-জেনারেল রঞ্জন ম্যাথিউ জানিয়েছেন, বর্তমানে ট্যারিফ রেজিমের কারণে কাস্টমারদের সুরক্ষা বাইপাস করার উদ্দেশ্যে যে টেলিমার্কেটার মেসেজ করে থাকেন তাদের এমনিতেই আটকে দেওয়া সম্ভব হবে। এই কারণে এই নিয়মটি তুলে দেওয়া হল। এছাড়াও যদি কোন টেলিমার্কেটার ট্রাই এর এই নিয়ম তুলে দেওয়ার কারণে সমস্যায় পড়েন তাহলে তারা নতুন ব্যবস্থায় রেজিস্টার করতে পারেন। রেজিস্টার করলে ওই টেলিমার্কেটার পুনরায় মেসেজ পাঠাতে পারবেন।