Electric Motorcycle: দেশের প্রথম লিকুইড কুল্ড ব্যাটারিযুক্ত ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল সেপ্টেম্বরে লঞ্চ হচ্ছে, আগুন লাগার ভয় থেকে মুক্তি

Published on:

এই দেশে যে হারে পর পর ইলেকট্রিক স্কুটারে আগুন লাগছে, তাতে গ্রাহকদের এর উপর ভরসা উঠে যাওয়ার জোগাড়। তবে একটা জিনিস লক্ষ্য করা গেছে, তা হল কয়েকটি নির্দিষ্ট সংস্থার ইলেকট্রিক স্কুটারের ব্যাটারি থেকেই বারবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। তবে এমন অনেক সংস্থাই রয়েছে যাদের টু-হুইলার এখনও পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের সম্মুখীন হয়নি। বিস্ফোরণের জন্য অনেকেই লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে ব্যবহৃত নিম্নমানের উপাদানের দিকে আঙুল তুলেছেন। কিন্তু ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তির ব্যাটারি যাতে ব্যবহার করতে না হয় তার দিশা দেখিয়েছে ভারতীয় ইলেকট্রিক ভেহিকেল (ইভি) স্টার্টআপ ম্যাটার (Matter)। কিছুদিন আগেই ইলেকট্রিক স্কুটার ও বাইকের জন্য একটি বিশেষ ধরনের লিকুইড কুল্ড ইভি ব্যাটারি প্যাক উন্মোচিত করেছে তারা, যার নামকরণ করা হয়েছে Matter Energy 1.0। সংস্থার দাবি এই ব্যাটারির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রয়েছে।

এবারে ম্যাটার লিকুইড কুল্ড ব্যাটারি সমেত ২০২২-এর দ্বিতীয়ার্ধে তাদের ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল বাজারে নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথা জানালো। যদিও সংস্থার তরফে মোটরসাইকেলটির নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। সংস্থার দাবি তাদের এই মোটরসাইকেলটি হবে দেশের প্রথম অ্যাক্টিভ লিকুইড কুলিং ব্যাটারি প্যাক প্রযুক্তির টু-হুইলার। অনুমান করা হচ্ছে এই অভিনব বৈদ্যুতিক বাইকটি এ বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো একসময়ে লঞ্চ হতে পারে বলে এক সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন ম্যাটারের সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও মোহাল লালভাই।

IP67 দ্বারা অনুমোদিত Matter Energy 1.0 ব্যাটারিটি এখনো ঝলক দেখায়নি ম্যাটার। এদিকে সূত্রের খবর, সংস্থার আসন্ন প্রোডাক্টটি হতে পারে একটি প্রিমিয়াম সেগমেন্টের মোটরসাইকেল। এটি সংস্থার অত্যাধুনিক নিকেল-ম্যাঙ্গানিজ-কোবাল্ট কেমিস্ট্রি সেল সহ আসবে। বাজারের অন্যান্য টু-হুইলারের মতো এতে লিথিয়াম-আয়ন-ফসফেট কেমিস্ট্রি সেল দেওয়া হবে না। যা বাইকটিকে আরো বেশি শক্তি এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

এ প্রসঙ্গে লালভাই বলেন, সংস্থাটি ক্রেতাদের নিরাপত্তা এবং বাইকের কার্যকারিতা বৃদ্ধির দিকে লক্ষ্য রেখেছে, যে কারণে এই লিকুইড কুলিং সিস্টেমটি গ্রহণ করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “সুরক্ষা, নিরাপত্তা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং কার্যকারিতা – একটি ব্যাটারি প্যাকের সারবস্তু হতে হবে। অন্যান্য বড় গাড়ি শিল্পে যেই প্রযুক্তি বৃহৎ পরিমাণে ব্যবহৃত হয়, সেগুলি ক্ষুদ্র আকারের আমরা আমাদের ব্যাটারিতে ব্যবহার করেছি। যেমন অ্যাক্টিভ লিকুইড কুলিং এবং স্মার্ট সেন্সিং।”

এক প্রশ্নের জবাবে লালভাই জানান, “উষ্ণতার ক্ষেত্রে আমরা ব্যাটারিটি ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় পরীক্ষা করেছি। যেখানে ৫৫-৫৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এগুলি উষ্ণ হতে শুরু করে।” সংস্থার দাবি যদি সত্যি হয় তবে ভারতের জলবায়ুর সাথে এই নতুন প্রযুক্তির ব্যাটারি যে বেশ খাপ খাইয়ে নিতে পারবে তা আশা করা যায়।

সঙ্গে থাকুন ➥