Honda Flex Fuel Bike: ভারতে ফ্লেক্স-ফুয়েল বাইক লঞ্চ করবে হোন্ডা, ছুটবে জৈব জ্বালানিতে, কমবে তেল খরচ

Published on:

বিকল্প জ্বালানির উপর ধীরে ধীরে জোর দিচ্ছে ভারত সরকার। লক্ষ্য, পেট্রল-ডিজেলের আমদানি খরচ কমিয়ে রাজকোষ শক্ত করার পাশাপাশি পরিবেশকে সুস্থ ও সতেজ করে তোলা। ফলে হালে সিএনজি এবং হাইড্রোজেন গ্যাসকে পরিবহণ জ্বালানি হিসাবে জনপ্রিয় করার রাস্তা খুঁজছে কেন্দ্র। আবার গাড়ি প্রস্তুতকারীদের কাছে বার্তা গিয়েছে পেট্রলের মতো প্রথাগত জ্বালানির পাশাপাশি জৈব জ্বালানিতে (ইথানল/মিথানল) চলতে সক্ষম এমন ফ্লেক্স-ফুয়েল (Flex-Fuel) ইঞ্জিন বানানোর। আজ, ভারতের অন্যতম বৃহত্তম দু’চাকা গাড়ি প্রস্তুতকারী হোন্ডা মোটরসাইকেল অ্যান্ড স্কুটার ইন্ডিয়া (HMSI) সেই ডাকে সাড়া দিয়ে জানিয়েছে, তারা শীঘ্রই পেট্রল এবং ইথানলের সংমিশ্রণে চলতে পারে এমন কমিউটার বাইক ভারতে লঞ্চ করতে চলেছে।

ইতিমধ্যেই একের বেশি জ্বালানিতে দৌড়তে সক্ষম এমন ফ্লেক্স-ফুয়েল মোটরসাইকেল ব্রাজিলে বিক্রি করে হোন্ডা। কারণ ব্রাজিলের ৫০ শতাংশের বেশি গাড়ি ফ্লেক্স ফুয়েলে চলে। এই দেশগুলিতে ব্যবহারকারীরা গাড়িতে ১০০ শতাংশ পেট্রল বা ১০০ শতাংশ বায়ো-ইথানল ভরার অনুপাতি পান। তবে বর্তমানে ভারতে পেট্রলে ৮.৫ শতাংশ ইথানল মেশানো যায়। চলতি বছর অবশ্য সেটা ১০ শতাংশ করার পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের।

শুধু একটা নয়, হোন্ডা ভারতে একাধিক ফ্লেক্স-ফুয়েল ইঞ্জিনযুক্ত মোটরসাইকেল লঞ্চ করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। অনুমান, সংস্থার Shine, SP 125-এর মতো জনপ্রিয় কমিউটার বাইকগুলির নতুন ভার্সন ওই নতুন ধরনের ইঞ্জিন সহযোগে বাজারে ছাড়তে পারে হোন্ডা। যদিও এই বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।

প্রসঙ্গত, টিভিএস মোটর কোম্পানি (TVS Motor Company)-র পর হোন্ডা দেশের দ্বিতীয় সংস্থা হবে, যারা ফ্লেক্স-ফুয়েল ইঞ্জিন পরিচালিত মোটরসাইকেল লঞ্চ করার পথে হাঁটছে। টিভিএস ২০১৯-এর জুলাইয়ে The Apache RTR 200 Fi E100 রূপে ভারতের প্রথম ১০০ শতাংশ ইথানল পরিচালিত মোটরবাইক লঞ্চ করেছিল।

তবে বিশ্বে প্রথম ফ্লেক্স-ফুয়েল পরিচালিত লঞ্চ করার কৃতিত্ব হোন্ডার। ২০০৯ সালে তারা ব্রাজিলে প্রথম এই ধরনের দু’চাকা গাড়ি লঞ্চ করেছিল। যার নামকরণ হয়েছিল Honda CG150 Titan Max। এতে এমন ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছিল যা ইথানল বা পেট্রল, অথবা দু’ধরনের জ্বালানির সংমিশ্রণে চলে।

প্রসঙ্গত, ইথানলে চাল, ভুট্টা, এবং আখের রস থেকে তৈরি হয়৷ আর এই ধরনের জৈব জ্বালানি ব্যবহার বাড়ালে দেশের উদ্বৃত্ত খাদ্যশষ্যকে কাজে লাগানো যাবে। পেট্রলের তুলনায় ইথানল কম বায়ুদূষণ সৃষ্টি করে। ফলে পরিবেশের পক্ষেও ভাল। আবার জৈব জ্বালানিতে গাড়ি চালাতে পারলে সুরাহা হবে গাড়ি মালিকদের। কারণ, ইথানলের দাম পেট্রলের চেয়ে অনেক সস্তা।

সঙ্গে থাকুন ➥