চলন্ত গাড়িতে হঠাৎই আগুন, ১৮ লাখ খরচ করে Kia কেনার সিদ্ধান্তে বুক চাপড়াচ্ছেন মালিক

Published on:

গ্রীষ্মের প্রদল দাবদাহ শুরু হতেই একের পর এক ইলেকট্রিক স্কুটারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটেছে। তবে সম্প্রতিক অতীতে পেট্রোল বা ডিজেল চালিত গাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা খুব একটা শোনা যায়নি। কিন্তু এবার তেমণই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল জয়পুর। আগুন ধরে গিয়ে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হল Kia Seltos। গাড়ির ছবি এবং তার মালিকের পুরো ঘটনা বর্ণনা দেওয়ার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল।

জানা গিয়েছে, জয়পুরের এক বাসিন্দা ৯ মাস আগে প্রায় ১৮ লাখ টাকা (অন-রোড) খরচ করে Kia Seltos এর HTX+ ভ্যারিয়েন্ট কিনে আনেন। গাড়ি মালিকের দাবি, চালিয়ে গন্তব্যস্থলে যাওয়ার সময় হঠাৎই গাড়ির বাতানুকূল যন্ত্রটি দ্বিতীয়বারের জন্য কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তিনি কালক্ষেপ না করে তৎক্ষণাৎ গাড়িটিকে নিকটবর্তী কিয়ার সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যান। এমনকি সেখানকার মেকানিক গাড়ির একটি যন্ত্রাংশ বদলে দেন। মেকানিক আরও বলেন, গাড়ি ঠিক সময়েই আনা হয়েছে। বেশি দেরি করলে আগুন ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতো। প্রসঙ্গত, নির্দিষ্ট সময় অন্তর সঠিকভাবে সার্ভিসিং করানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই গাড়ি মালিক।

এক ঘন্টা ধরে সারাইয়ের কাজ চলে। তারপর রাস্তায় নিয়ে বেরোতেই চলন্ত গাড়িতে আগুন ধরে যায়। সামনের বনেটে থাকা ইঞ্জিনের অংশ থেকে কালো ধোঁয়া নির্গত হতে থাকে। আশেপাশে থাকা মানুষদের সাহায্যে সেই আগুন নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইঞ্জিন সংলগ্ন তার, ফিউজ বক্স, ফুয়েল পাইপ ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ। সমগ্র গাড়িটিকে চলাচলযোগ্য করে তোলার জন্য ছয় লক্ষ টাকা খরচ অনুমান করা হয়। যদিও কিয়া ইন্সুরেন্স না দেখেই মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করে দেয়।

এরপরও গাড়িটিতে ইঞ্জিন-ম্যালফাংশন লাইট জ্বলে থাকছে বলে অভিযোগ করেন এই ব্যক্তি। এমনকি গাড়িটি চালানোর পর থেকেই ইঞ্জিন থেকে এক অদ্ভুত ধরনের শব্দ শোনা যাচ্ছে। এরপর আবার সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে গেলে তারা বাজে তেল ব্যবহারের ফলে ফুয়েল ইনজেক্টেড সিস্টেম খারাপ হওয়ার তত্ত্ব খাড়া করে। এরপর ওই গাড়ির মালিক গাড়ি থেকে সেই একই তেল সংগ্রহ করে সেটা তার অন্য একটি গাড়িতে (টয়োটা ইনোভা) দিয়ে দেখেন কোনওরকম সমস্যা ছাড়াই দিব্যি চলতে পারছে সেটি।

এরপরই গাড়ির মালিক ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি কিয়ার সার্ভিস সেন্টারের মেকানিকদের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তোলেন। তারা সঠিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয় বলে তিনি দাবি করেন। উপরন্তু তিনি জানান এই ৯ মাসের মধ্যে প্রায় ৩ মাস ধরে গাড়িটি সার্ভিস সেন্টারেই রাখা ছিল। তিনি এতটাই বিরক্ত যে এই গাড়িটিকে তিনি আর নিজের কাছে রাখতে চান না। যত শীঘ্রই সম্ভব তিনি তা বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এখন দেশের চতুর্থ বৃহত্তম গাড়ি সংস্থা Mahindra-র ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে Kia। সদ্য ভারতে পাঁচ লাখ গাড়ি বিক্রির মাইলস্টোন স্পর্শ করেছে তারা। ব্যবসা শুরুর তিন বছরের কম সময়ে এই সাফল্য। অভিযোগ এলেও তাদের বিক্রি হওয়া প্রতি ১০০টি গাড়ির মধ্যে ৬০টিই Seltos মডেলেরই। সম্প্রতি এর Faceift সংস্করণও উন্মোচিত হয়েছে।

সঙ্গে থাকুন ➥