অর্ডার করেছিলেন iPhone 13 Pro Max, বক্সে পেলেন ডেয়ারি মিল্কের চকোলেট

Avatar

Published on:

ভারত তথা বিশ্ব জুড়ে টেক জায়ান্ট অ্যাপল (Apple)-এর স্মার্টফোন, আইফোনের (iPhone) ‘ক্রেজ’ ব্যাপক। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইন রিটেল স্টোরে এই অত্যাধুনিক ফিচারের ফোনগুলি কেনার জন্য ভিড় জমে। তবে বিগত কয়েক বছরে অনলাইন শপিং স্টোরের মাধ্যমে লক্ষাধিক টাকার আইফোন অর্ডার করার পর রিটেল বক্সের থেকে ১০-২০টাকার সাবান বা চকলেট প্যাকেট বের হওয়ার অভিযোগ একাধিকবার শোনা গেছে। কিছুদিন আগেই এক ভারতীয় আইফোন ক্রেতা রিটেল বক্স থেকে আপেল পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তবে সম্প্রতি সামনে আসা একটি খবর শুনে মনে হচ্ছে, ডেলিভারি সংক্রান্ত এই সমস্যা শুধুমাত্র ভারতে নয়, বরং সারা বিশ্ব জুড়েই চলছে। হালফিলে, এক যুক্তরাজ্যবাসী (UK), ১,০৪৫ ইউরো (প্রায় ৮৮,৩০০ টাকা) মূল্যের iPhone 13 Pro Max অর্ডার করে ডেলিভারি সংস্থার ভুলের জন্য কীভাবে নাজেহাল হয়েছেন, সেই অভিজ্ঞতার কথা সামনে এনেছেন।

iPhone 13 Pro Max এর বদলে বক্স থেকে বেরোলো ওরিও চকলেটের বার

যুক্তরাজ্যের অধিবাসী ড্যানিয়েল ক্যারল, ক্রিস্টমাস উপলক্ষে নিজের জন্য আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স (iPhone 13 Pro Max) মডেল অনলাইনে অর্ডার করেন এবং সেটি হাতে পাওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় তাকে অপেক্ষারত থাকতে হয়। কিন্তু, নির্ধারিত ডেলিভারি তারিখ পেরিয়ে গেলেও বাড়িতে আসেনি তার শখের উপহার। যাইহোক, ডেলিভারির দিনক্ষণ বারংবার বিলম্বিত হতে থাকার দুই সপ্তাহ পরে, ড্যানিয়েল অবশেষে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে তার আইফোন সংগ্রহ করতে বাধ্য হন। তবে অনুমোদিত রিটেল বিক্রেতার কাছ থেকে আইফোন সংগ্রহ করতে গিয়ে ড্যানিয়েলকে ২৪ মাইল রাউন্ডট্রিপ এবং প্রচুর ফোন কল করতে হয়। যারপর, আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্সের রিটেল বক্স হাতে পান তিনি। কিন্তু, এত খাটাখাটনি পর প্যাকেজটি খুলে ভিতরে আইফোন নয়, ডেয়ারি মিল্ক ওরিও চকোলেটের দুটি বার আবিষ্কার করেন ড্যানিয়েল।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে ড্যানিয়েল ক্যারলের মন্তব্য, “দীর্ঘ সময় ধরে আমার ব্র্যান্ড-নিউ আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স @DHLParcelUK network -এ আটকে থাকে। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত তারা ডেলিভারি দিতে ব্যর্থ হয়। যারপর, অবশেষে আমি গতকাল ডিএইচএল লিডস থেকে পার্সেলটি সংগ্রহ করেছিলাম। তবে প্যাকেজটি টেম্পারড ছিল এবং নতুন ফোনের পরিবর্তে তাতে চকলেট বার রাখা ছিল।”

ডেলিভারি সংক্রান্ত এই সমস্যা সম্পর্কে ড্যানিয়েল, পার্সেল বিতরণকারী সংস্থা ডিএইচএল পার্সেল নেটওয়ার্ক (DHLParcelUK network) -কে অবগত করান। কিন্তু, তার কেসটি গাম্ভীর্যের সাথে নেওয়া হচ্ছে না বলে তিনি জানান। কেননা, ডিএইচএল কর্মীরা বর্তমানে এই কেসের তদন্ত করলেও, তারা ততটা সক্রিয় নয় যতটা এই ধরনের মামলার জন্য হওয়া উচিত, এমনটাই মনে করছেন ড্যানিয়েল। যাইহোক, ডিএলসিএল -এর পাশাপাশি অ্যাপলের কাছেও সাহায্য চেয়েছেন ড্যানিয়েল।

ফোন মিসপ্লেস হয়ে গেলে, তদন্ত চলাকালীন গ্রাহক একটি রিপ্লেস আইফোন পেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে, ডিএইচএল সংস্থার এক মুখপাত্র বলেছেন, “আমরা দ্রুততার সাথে এই কেসের তদন্ত করছি এবং মিস্টার ক্যারল যাতে রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে একটি আইফোন পান, তা নিশ্চিত করতে চেষ্টা করছি।”

যাইহোক, অনলাইনে আইফোন অর্ডার করার ক্ষেত্রে এই ধরণের ঘটনা এখন প্রায়শই ঘটছে। আর ভারতে তো এর সংখ্যা অগুনিত। ফলে ধারবাহিক ভাবে ঘটতে থাকা এই ঘটনাগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে, অ্যাপল পরবর্তী সময়ে অনলাইন ডেলিভারি প্রক্রিয়ার প্রতি আরো সচেতন হবে এবং আইফোনের পরিবর্তে সাবান বা চকলেট দিয়ে আগামী দিনে নিজেদের গ্রাহকদের নিরাশ করবে না বলেই আশা আমাদের।

সঙ্গে থাকুন ➥