WhatsApp-কে নতুন প্রাইভেসি পলিসি প্রত্যাহারের জন্য চিঠি ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের

Published on:

বর্তমানে টেক দুনিয়ার সবচেয়ে হিট খবর কোনটি? এই প্রশ্নের উত্তর জিজ্ঞেস করা হলে অধিকাংশ লোকই চোখ বুজে একটাই উত্তর দেবে—WhatsApp-এর প্রাইভেসি পলিসি। চলতি বছরের শুরু থেকেই এই পলিসিকে প্রায়শই খবরের শিরোনামে দেখা যাচ্ছে। এই নিয়ে বিতর্ক আর জলঘোলার যেন কোনো শেষ নেই! বহু টালবাহানা ও মতবদলের পর বাধ্যতামূলকভাবে না হলেও ১৫ মে থেকে এই নীতি কার্যকর হওয়ার পর, আবার একে কেন্দ্র করে আরেকটি চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে এল। ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় (Ministry of Electronics and Information Technology বা MeitY) WhatsApp-কে তাদের নতুন প্রাইভেসি পলিসি প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি ফেসবুক মালিকানাধীন মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে এজেন্সির পাঠানো একটি চিঠি অনুসারে এই কথা জানা গেছে।

চিঠিতে দেখা গেছে, MeitY বিশ্বাস করে যে, হোয়াটসঅ্যাপ প্রাইভেসি পলিসির ক্রমাগত পরিবর্তন এবং সেই পরিবর্তনগুলি চালু করার পন্থা ইউজারের অভিমত, তথ্যগত গোপনীয়তা এবং ডেটা সুরক্ষা সম্পর্কিত পবিত্র মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ণ করে এবং একইসাথে ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার ও স্বার্থের ক্ষতি করে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে, সরকার নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য WhatsApp-কে সাত দিন সময় দিয়েছে এবং যদি কোনও সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া না পাওয়া যায়, তবে আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

কীভাবে WhatsApp-এর নয়া নীতিমালা বিদ্যমান ভারতীয় আইন এবং নিয়মের বেশ কয়েকটি বিধানের লঙ্ঘন করছে, সে বিষয়ে সংস্থাটির দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছে মন্ত্রণালয়। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার সার্বভৌম দায়িত্ব পূরণের উদ্দেশ্যে ভারতীয় আইনের আওতায় থেকে সরকার যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

ইউরোপের ব্যবহারকারীদের তুলনায় ভারতীয় ব্যবহারকারীদের প্রতি WhatsApp-এর ‘বৈষম্যমূলক আচরণ’-এর বিষয়টিও মন্ত্রক (Ministry) জোরালোভাবে প্রত্যক্ষ করেছে। যেহেতু অধিকাংশ ভারতীয় নাগরিক দৈনন্দিন জীবনে যোগাযোগের জন্য ফেসবুক মালিকানাধীন ইন্সট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটির উপর নির্ভর করে, তাই ভারতীয় ব্যবহারকারীদের উপর এই অন্যায় শর্ত আরোপ করাকে WhatsApp-এর দায়িত্বজ্ঞানহীনতা বলেও উল্লেখ করেছেন তারা। এখানে উল্লেখ করা সঙ্গত যে, সংবেদনশীল তথ্য শেয়ার করা হচ্ছে বলে ব্যবহারকারীদের উদ্বেগের কারণে এর আগে WhatsApp ও তার মূল সংস্থা Facebook-কে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে তীব্র ভর্ৎসনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। পরে অবশ্য সংস্থার তরফ থেকে সকল ইউজারকে নিশ্চিত করে জানানো হয় যে, প্রাইভেসি পলিসি মানা বা না মানার সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার কোনো সম্পর্ক নেই।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সঙ্গে থাকুন ➥