২০২৪ সালের মধ্যে Samsung, Apple কে হারিয়ে সেরা স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হওয়ায় ভাবনা Xiaomi-র

Avatar

Published on:

গত ২৮ ডিসেম্বর চীনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল Xiaomi-র ভার্চুয়াল লঞ্চ ইভেন্ট। যেখানে সংস্থাটি তাদের বিভিন্ন নতুন ইলেকট্রনিক প্রোডাক্টের ওপর থেকে পর্দা সরিয়েছে। তার মধ্যে ছিল Xiaomi 12 স্মার্টফোন সিরিজ, নয়া সফটওয়্যার MIUI 13, Xiaomi Watch S1 স্মার্টওয়াচ এবং আরও অনেক কিছু। তবে শুধুমাত্র প্রোডাক্টটই নয়, এই অনুষ্ঠানে শাওমির সিইও তথা প্রতিষ্ঠাতা লেই জুন ( Lei Jun) সংস্থার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতেই বিশ্ব বাজারে স্মার্টফোনের রপ্তানির ক্ষেত্রে সংস্থাটি Apple কে পিছনে ফেলেছিল। ফলে সেই সময় এটি বিশ্বের দ্বিতীয় স্মার্টফোন নির্মাণকারী সংস্থায় পরিণত হয়েছিল। এখন সংস্থাটি বিশ্বে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের জন্য এবং আগামী তিন বছরের মধ্যে বিশ্ববাজারে মোবাইল প্রস্তুতের ক্ষেত্রে প্রথম স্থান দখলের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।

গত নভেম্বর মাসে চিনা মাইক্রোব্লগিং সাইট উইবোতে এই একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন Redmi জেনারেল ম্যানেজার তথা শাওমি গ্রুপের সিনিয়র ভিপি লু উইবনিং (Lui Weibning)। তিনিও বলেছিলেন, সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা লুই জুন ২০২৪ সালের মধ্যে স্মার্টফোনের দুনিয়ায় শাওমিকে প্রথম স্থানে দেখতে চান। আর এই স্বপ্নপূরণের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সংস্থাটি চিনা বাজারে তাদের স্মার্টফোনের বিক্রি বাড়ানোর ওপর নজর দিয়েছে।

এখানে জানিয়ে রাখি, চীনে শাওমির ৭০% স্মার্টফোন অফলাইন আউটলেটের মাধ্যমে বিক্রি হয়। তাই সংস্থাটি আগামী তিন বছরের মধ্যে তাদের অফলাইন আউটলেটের সংখ্যা আরো ৩০,০০০ বাড়াতে চলেছে। জানা গেছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই যেহেতু সংস্থাটি মোবাইলের একচেটিয়া বাজার দখল করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে, তাই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড (অ্যাপল/স্যামসাং) নয়। বিশ্বের যেকোনো লিডিং মোবাইল নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে টেক্কা দিতে তারা তাদের প্রোডাক্টগুলি তৈরি ওপর বিশেষ নজর দিচ্ছে। এদিনের লঞ্চ ইভেন্টে প্রতিষ্ঠাতা লুই জুন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, কিভাবে তারা স্মার্টফোনের বাজার ধরতে এগোচ্ছেন। সম্প্রতি বিশ্ববাজারে অ্যাপলের থেকে সামান্য ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে শাওমি, মোবাইল প্রস্তুতের ক্ষেত্রে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। যদিও Samsung দীর্ঘ সময় ধরে দৃঢ়ভাবে প্রথম স্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। লুই জেন জানান, শাওমিকে তার লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রথমেই ইউরোপিয়ান মার্কেটকে টার্গেট করতে হবে, যেখানে স্যামসাং তার আধিপত্য ক্রমশ হারাচ্ছে। এর পাশাপাশি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের তরফে Huawei চিপ ব্যান করে দেওয়ায়, হুয়াওয়ের শেয়ার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে সংস্থাটির।

এখন এটাই দেখার আগামী তিন বছরের মধ্যে Xiaomi তার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে বিশ্ববাজারে মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির মধ্যে প্রথম স্থানে উঠে আসতে পারে কি না।

সঙ্গে থাকুন ➥