আইপিএলে অধিনায়ক হিসেবে ধোনির তিনটি রেকর্ড, যা ভবিষ্যতে কারোর পক্ষে ভাঙা প্রায় অসম্ভব

এই বছর আইপিএলে মহেন্দ্র সিং ধোনি চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়কত্বের সমস্ত দায়িত্ব তরুণ ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াডের কাঁধে তুলে দিয়েছেন।

মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni) ভারত তথা বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সফল অধিনায়ক। তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে সঙ্গে আইপিএলে (IPL) ১৩ থেকে ১৪ মরসুমে চেন্নাই সুপার কিংসের (Chennai Super Kings) হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে এই বছর ধোনি চেন্নাইয়ের অধিনায়কত্বের সমস্ত দায়িত্ব তরুণ ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াডের কাঁধে তুলে দিয়েছেন। কিন্তু ভারতের প্রাক্তন বিশ্বকাপ জয়ী এই অধিনায়ক আইপিএলে এমন কিছু রেকর্ড তৈরি করেছেন যা ভবিষ্যতে ভাঙার সম্ভাবনা খুবই কম। চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক হিসাবে ধোনির এইরকম ৩ রেকর্ড নিয়ে আলোচনা করা হল।

১) অধিনায়ক হিসাবে সর্বাধিক ম্যাচ জয়

মহেন্দ্র সিং ধোনি চেন্নাই সুপার কিংসকে ২০০৮ সাল থেকে মাঝে ২ বছর দল নির্বাসনে থাকা বাদে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই ১৪ মরসুমে তিনি প্রায় প্রতিটি ম্যাচে দক্ষতার সঙ্গে নিজের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করছেন। এর সঙ্গেই ধোনি এই দলের হয়ে ২০০ টির বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন যা বর্তমানে অন্য ক্রিকেটারদের পক্ষে অসম্ভব। তাদের এই রেকর্ড ভাঙতে হলে আইপিএলে কোনো দলের ১৪ টি মরসুম নেতৃত্ব দিতে হবে। ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতায় যা সম্ভব নয়। এর সঙ্গেই তার অধীনে সিএসকে ২২৬ টি ম্যাচের মধ্যে ১৩৩ টি ম্যাচে জয়লাভ করে যা আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম রেকর্ড।

২) অধিনায়ক হিসাবে সবচেয়ে বেশি ফাইনাল খেলা

মহেন্দ্র সিং ধোনি চেন্নাইয়ের হয়ে ১৪ মরসুমের মধ্যে ১০ মরসুমে দলের হয়ে ফাইনালে নেতৃত্ব দিয়েছেন‌। এই অসামান্য সাফল্য আইপিএলে ইতিহাসে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। ধোনির পর কোনো অধিনায়কের ক্ষেত্রে আইপিএলের ১০ মরসুমে কোনো দলকে ফাইনালে নিয়ে যেতে পারা প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার। ফলে এই রেকর্ড ভবিষ্যতে অটুট থাকবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

৩) অধিনায়ক হিসাবে টানা ১০ বার প্লে অফে প্রবেশ করা

আইপিএলের প্রতিটি দলেই একাধিক তারকা ক্রিকেটার আছেন। ফলে যেকোনো দলের কাছেই এই টুর্নামেন্টের প্লে অফে পৌঁছান সহজ বিষয় নয়। কিন্তু চেন্নাই সুপার কিংস এই বিষয়টিকে প্রায় অভ্যাসে পরিণত করেছে। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চেন্নাই টানা ১০ বার প্লে অফে প্রবেশ করেছে। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে এই কৃতিত্ব অর্জন করা সহজ হয়েছে। তাই অনেকেই মনে করেন ভবিষ্যতে আইপিএলে এই রেকর্ড ভাঙা অসম্ভব।‌