WhatsApp Policy: অ্যাকাউন্ট ব্যান বা জেলের ঘানি না টানতে জেনে নিন এই তিনটি হোয়াটসঅ্যাপ পলিসি

বর্তমান সময়ে WhatsApp এতটাই জনপ্রিয় একটি মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে, যা প্রায় প্রতিটি মানুষের মোবাইলেই খুঁজে পাওয়া যাবে। যদিও, এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপটিতে অ্যাকাউন্ট খোলা বা ব্যবহারের সময়ে অনেকেই উল্লেখিত পলিসি বা নীতিগুলিকে পড়ার প্রয়োজন অনুভব করেন না। যার দরুন আমরা প্রায়শই বিভিন্ন নীতি লঙ্ঘন করি থাকি। কিন্তু এরূপ সংস্থার পলিসিগুলি উপেক্ষা করার প্রবণতা আমাদের যথেষ্ট মুশকিলে ফেলতে পারে। এমনকি, অ্যাপে থাকা ‘টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন’ বিভাগে এমন কিছু নীতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা লঙ্ঘন করলে আপনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। যেমন, ধারাবাহিকভাবে কেউ যদি আপত্তিজনক বা সমাজ বিরোধী কনটেন্ট শেয়ার করেন উক্ত প্ল্যাটফর্মে, তাকে জেলের হওয়াও খেতে হতে পারে। তাই আপনাদের সুরক্ষার্থে আজ আমরা এই প্রতিবেদনে WhatsApp প্রবর্তিত পলিসিগুলির সম্পর্কে জানাবো, যা ভঙ্গ করলে মাশুল গুনতে হবে জীবনভর।

WhatsApp Policy লঙ্ঘন করলে ব্যান করা হবে অ্যাকাউন্ট –

হোয়াটসঅ্যাপ পলিসির অধীনে, আপনি এমন কোনও ছবি বা ভিডিও শেয়ার করতে পারবেন না যা সমাজের জন্য ক্ষতিকর বা সমাজকে বিভক্ত করতে পারে। এমনটা করলে নীতি লঙ্ঘনের অপরাধে সেই অ্যাকাউন্ট ব্যান বা নিষিদ্ধ করার অধিকার রাখে হোয়াটসঅ্যাপ। জানিয়ে রাখি, গত এপ্রিল মাসে আপত্তিকর কনটেন্ট শেয়ার করার অভিযোগে প্রায় ১৬ লক্ষ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছিল উক্ত মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি। মূলত, ক্ষতিকারক কার্যকলাপে লিপ্ত ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানোর জন্যই এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফ থেকে৷ আর একবার যদি অ্যাকাউন্ট ব্যান করে দেওয়া হয়, সেই ব্যবহারকারী আর কোনদিন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে কোনো ব্যবহারকারী যদি মনে করেন ভুলবশত তার অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হয়েছে, তাহলে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে গিয়ে সেই সম্পর্কে রিপোর্ট করতে ও এই বিষয়ে সাফাই দিতে পারবেন।

এই কাজ করলে গ্রেপ্তার করতে পারে পুলিশ

যে সকল ব্যক্তি জনসাধারণের ধর্মীয় বিশ্বাসকে আঘাত বা করে তাদের গ্রেফতার করার অধিকার পুলিশের রয়েছে। কেননা, ভারতীয় সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত আইন অনুসারে এরূপ কার্যকলাপ অপরাধের আওতায় পড়ে। উদাহরণস্বরূপ, দিল্লিতে ঘটা সাম্প্রতিক দাঙ্গায় হিংসাত্মক ভাবনা প্রচারের কারণে পুলিশ বহু ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল। এক্ষেত্রে, দাঙ্গা উসকে দিতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়।

গ্রুপ অ্যাডমিনকে (Admin) টানতে হতে পারে জেলের ঘানি

হোয়াটসঅ্যাপে বেআইনি কার্যকলাপ ঘটানো বা আপত্তিকর কনটেন্ট শেয়ার করা হচ্ছে এমন গ্রুপগুলির অ্যাডমিনকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানানো হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ পলিসির অধীনে – চাইল্ড পর্নোগ্রাফি, দাঙ্গা উসকে দেওয়ার ছবি বা ভিডিও এবং অসামাজিক কনটেন্ট শেয়ার করা বেআইনি। এমনকি এই মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে ভুয়ো খবর ছড়ানোও অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে সম্প্রতি এরূপ কাজে একাধিক ব্যক্তি লিপ্ত হয়ে পড়ায়, হোয়াটসঅ্যাপ ‘ফ্যাক্ট চেক’ (Fact Check) করার কাজটি বহুদিন যাবৎ চলমান রেখেছে। অর্থাৎ, মেসেজিং অ্যাপটি সেইসকল ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করে যাচ্ছে, যারা প্রতিনিয়ত স্ক্যাম, স্প্যাম বা ক্ষতিকারক ডেটা তথা কনটেন্ট শেয়ার করছেন। এক্ষেত্রে, ‘ফ্যাক্ট চেক’ -এ দোষী প্রমাণিত হলে সেই অ্যাকাউন্টটি সাসপেন্ড করার ব্যবস্থা নেবে হোয়াটসঅ্যাপ।