2016 থেকে রাস্তায় গাড়ি বের করার অপেক্ষায় 3 লাখ পাকিস্তানি, নম্বর প্লেট আজও দূর অস্ত!

স্রেফ এক বা দুই নয়, তিন লাখেরও বেশি পাকিস্তানি গাড়ি কিনেও পাঁচ বছর ধরে সেগুলি কার্যত বাড়িতেই সাজিয়ে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। শুনতে অবাক হওয়ার কথা৷…

স্রেফ এক বা দুই নয়, তিন লাখেরও বেশি পাকিস্তানি গাড়ি কিনেও পাঁচ বছর ধরে সেগুলি কার্যত বাড়িতেই সাজিয়ে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। শুনতে অবাক হওয়ার কথা৷ কিন্তু, বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে ৩ লাখের উপরে বসবাসকারী নতুন গাড়ির কেনার পর তা নিবন্ধীকরণের জন্য অর্থ জমা করলেও ২০১৬ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত তাঁরা নম্বর প্লেট পাননি। তাই বিগত পাঁচ বছর ধরে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরোতেও পারছেন না তারা।

নম্বর প্লেট পাওয়ার জন্য প্রশাসনের কোষাগারে এখনো পর্যন্ত ৩০ কোটির অধিক পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ১২.৭৪ কোটি টাকা) জমা পড়েছে৷ কিন্তু নম্বর প্লেট পাওয়া দূর অস্ত৷ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট গাড়ি মালিকেরা খুব ক্ষুব্ধ৷ পাকিস্তানের গাড়ির ডিলার, আমদানিকারী সংস্থা এবং আবগারি শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে এই বিষয়টি সর্বসমক্ষে এসেছে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। গাড়ির নিবন্ধীকরণের সময় প্রত্যেকের কাছ থেকে ১,০০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ৪২৪ টাকা) সংগ্রহ করেছে সে দেশের আবগারি দপ্তর।

অটোমোটিভ ট্রেডার্স এবং ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ATIA) সূত্রে খবর, ২০১৬ থেকে থেকে নম্বর প্লেট পাওয়ার অপেক্ষা করতে করতে মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছেন। যদিও এই প্রসঙ্গে পাক আবগারি এবং শুল্ক বিভাগ সূত্রে বলা হয়েছে, নতুন ডিজাইনের নম্বর প্লেটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, মার্চের মধ্যেই নম্বর প্লেট দেওয়ার কাজ সমাপ্ত করা হবে।

অন্যদিকে সিন্ধু প্রদেশ সরকার গাড়ির নিবন্ধীকরণ এবং হাতবদলের জন্য বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা প্রণয়ন করেছে। খুব শীঘ্রই তা কার্যকর করা হবে। ATIA-এর রিপোর্টে আবার বলা হয়েছে, নতুন নম্বর প্লেটগুলি সিন্ধু প্রদেশের ঐতিহ্যবাহী ‘আজরক বর্ডার’ সহ আসতে চলেছে। যার জন্য অতিরিক্ত ৮০০ পাকিস্তানি রুপি দিতে হবে গ্রাহকদের।