ফুল চার্জে যাবে ৮০ কিমি, সস্তায় বাজারে এল ব্যাটারি চালিত অটো

নিত্যনতুন প্রযুক্তির সাথে টু-হুইলার বলুন বা ফোর-হুইলার, সমস্ত ধরণের গাড়ি ক্রমশ আপডেট হচ্ছে। তবে এটা ভাবা ভুল যে, দু’চাকা আর চার চাকার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাথে…

নিত্যনতুন প্রযুক্তির সাথে টু-হুইলার বলুন বা ফোর-হুইলার, সমস্ত ধরণের গাড়ি ক্রমশ আপডেট হচ্ছে। তবে এটা ভাবা ভুল যে, দু’চাকা আর চার চাকার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাথে পাল্লা দিতে না পেরে ব্রাত্যের তালিকায় রয়ে গেছে দেশের গণ পরিবহনব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম অটো। এবার অটোরও কিন্তু ভোল বদলাচ্ছে।

Piaggio সম্প্রতি কেরালার তিরুবনন্তপুরম এবং কোজিকোড শহরে এনেছে ইলেকট্রিক থ্রি-হুইলার Ape E-City। প্রসঙ্গত, Piaggio গত বছরের শেষের দিকে কেরালার কোচি শহরে Ape E-City রেঞ্জের অটো লঞ্চ করেছিল। এবার সংস্থা কোচির পাশাপাশি কেরালাতে তিরুবনন্তপুরম এবং কোজিকোড শহরকেও Ape E-City-এর বাজার হিসেবে সংযুক্ত করলো। এই অটোর দাম ১,৯৮,৯২৬ টাকা (এক্স-শোরুম,কেরালা)। Piaggio Ape E-City অটোর ওপর দিচ্ছে তিন বছরের/এক লক্ষ কিমির (যেটা আগে হবে) ওয়ারেন্টি এবং সেইসঙ্গে তিন বছরের ফ্রী সিডিউলড মেইনটেন্যান্স।

বৈদ্যুতিন শক্তি দ্বারা চালিত হওয়ায় Ape E-City সম্পুর্ণরূপে পরিবেশবান্ধব, কোনোরূপ ধোঁয়া নির্গত করে না, চলার সময় বার করে না অপ্রয়োজনীয় আওয়াজ এবং অটোর সওয়ারীও কম্পনের অনুভূতি পান না। ফলে একে ভারতের মহানগরগুলির নেক্সট জেনারেশন লাস্ট মাইল মোবিলিটি সল্যুউশন বলা হচ্ছে।

Ape E-City হচ্ছে ভারতের প্রথম ই-অটো যা সোয়াইপেবল ব্যাটারি টেকনোলজির সাথে এসেছে। এর ৪.৭ kwh-এর ব্যাটারি, ফুল চার্জে ৭০-৮০ কিমি পর্যন্ত ড্রাইভিং রেঞ্জ দিতে সক্ষম। অটোতে সান মোবিলিটি নামক একটি সংস্থার লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। এই সংস্থা ব্যাটারি চার্জের জন্য কুইক ইন্টারচেঞ্জ স্টেশন নেটওয়ার্কও সরবরাহ করবে। দাবী করা হয়েছে, এই সোয়াইপেবল ব্যাটারি বেস্ট ইন ক্লাস পাওয়ার, পিক-আপ, মাইলেজ এবং লো মেইনটেনান্স অফার করে।

Ape E-City অটোর গ্রাহকরা সান মোবিলিটির সাবস্টেশনে গিয়ে সম্পূর্ণ চার্জযুক্ত ব্যাটারির সাথে তার ব্যাটারি সোয়াইপ করতে পারবেন। ফলে রাস্তায় ব্যাটারির চার্জ কমে গেলেও ব্যাটারি আবার চার্জ দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হচ্ছে না। শুধু চার্জিং স্টেশনে গিয়ে ফুরিয়ে যাওয়া ব্যাটারি এক্সচেঞ্জ করে নিলেই হল।

এই ই-অটোর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, গিয়ার ও ক্লাচ ছাড়াই অটোমেটিক গিয়ারবক্স, এবং নিরাপত্তার জন্য থাকা দরজা। গ্রাহকরা ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারে চার্জের পরিমান, ড্রাইভ মোডস, সার্ভিস এলার্ট, ইকোনমি মোড চেক করে নিতে পারবেন। সেইসঙ্গে স্মার্টফোনে অ্যাপের মাধ্যমেও ব্যাটারির চার্জ দেখা, নিকটবর্তী সোয়াইপ স্টেশন খোঁজার মতো কাজগুলিও করে নিতে পারবেন।