Xiaomi Electric Car: শাওমির 80000 কোটি টাকা মূল্যের বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রকল্পের লাইসেন্স আটকে দিল চীন সরকার

চীনা টেক জায়ান্ট সংস্থা শাওমি (Xiaomi) এতদিন স্মার্টফোনের দুনিয়া কাঁপিয়ে এবারে ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারে পদার্পণ করতে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের এই গাড়ি নিয়ে আসাকে ঘিরে…

চীনা টেক জায়ান্ট সংস্থা শাওমি (Xiaomi) এতদিন স্মার্টফোনের দুনিয়া কাঁপিয়ে এবারে ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারে পদার্পণ করতে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের এই গাড়ি নিয়ে আসাকে ঘিরে জোর জল্পনা চলছে। ইতিমধ্যেই গাড়িটির চীনের রাস্তায় ট্রায়াল দেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়। কিন্তু আত্মপ্রকাশের আগেই শাওমির ইলেকট্রিক গাড়ির প্রকল্প হোঁচট খেল। প্রশাসনের থেকে নাকি এখনও লাইসেন্স-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র মেলেনি। এমনটাই অভিযোগ। সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের দাবি, চীনের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশন বা এনডিআরসি (NDRC) সংস্থাটিকে অনুমোদন পত্র দেয়নি। এটি পেতে বেশ কয়েক মাস আগেই আবেদন জানিয়েছিল শাওমি। ফলে শাওমির ইলেকট্রিক গাড়ি প্রকল্পের তরী থমকে গেল তীরে এসেই।

সামনের মাস অর্থাৎ আগস্টে শাওমি তাদের বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রোটোটাই মডেলের উন্মোচনের প্রস্তুতিপর্ব সেরে ফেলেছে বলেই খবর। এমনকি সংস্থাটি তাদের এই প্রকল্পের জন্য ১,০০০ কোটি ডলার বা প্রায় ৮০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিল। ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবসার কথাটি গত বছর মার্চে ঘোষণা করেছিল সংস্থা। সেসময় বলা হয়েছিল প্রাথমিক পর্যায়ে তারা ১৫০ কোটি টাকা লগ্নি করবে। আর ৮০,০০০ কোটি টাকা আগামী ১০ বছরে একাধিক পর্যায়ে বিনিয়োগ করা হবে। এই ব্যাটারি চালিত গাড়িটি Xiaomi Auto Company নামক কোম্পানির মাধ্যমে লঞ্চ করা হবে।

শাওমির সহ প্রতিষ্ঠাতা লে জুন মনে করেন অনুমোদন পত্র পেতে দেরি হওয়ার ফলে তাদের মূল প্রতিপক্ষ সংস্থা আগে বাজার ধরে ফেলবে। তাদের প্রতিপক্ষ সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে Google, Apple, ও Sony। যারা বাজারে স্বয়ংচালিত ইলেকট্রিক গাড়ি নিয়ে আসার দৌড়ে সামিল হয়েছে। এমনকি চীনের দুই নামজাদা সংস্থা Baidu ও Huawei এই জাতীয় গাড়ি নিয়ে আসতে চলেছে।

প্রসঙ্গত বর্তমানে চীন বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার। যেখানে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে Nio, BYD ও Tesla-র মতো রাঘববোয়াল সংস্থাগুলি। লে জুনের ধারনা, তাদের সংস্থার বিশেষজ্ঞরা কানেক্টেড টেকনোলজির সাহায্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির দুনিয়ায় নবজাগরণ আনতে পারবে। ফলে চীনের বাজারের বর্তমান চিত্রটিও পাল্টাতে পারে।

সংশ্লিষ্ট মহলের ধারনা! শাওমির লাইসেন্স পেতে দেরি হওয়ার কারণ, সম্প্রতি চীনে একাধিক বৈদ্যুতিক গাড়ির সংস্থা নিজেদের দেউলিয়া বলে ঘোষণা করেছে। যে কারণে প্রশাসন অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে কড়া হয়েছে। সংস্থার আসন্ন গাড়ির উৎপাদন ২০২৪ থেকে শুরু হবে। লাইসেন্স হাতে পেতে দেরি হওয়ার ফলে, উৎপাদন শুরু করতেও বিলম্ব হতে পারে। অন্যদিকে, অনুমোদন প্রক্রিয়া থমকে যাওয়ায় সংস্থার বৈদ্যুতিক গাড়ির শাখায় কর্মরত ১,০০০-এর বেশি কর্মীর ভবিষ্যৎ কার্যত অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হয়েছে। লাইসেন্স দেওয়ায় সাময়িক প্রত্যাখ্যান সংস্থার গবেষণা ও উন্নয়ন এবং কারখানা তৈরির জন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড়সড় ধাক্কা নিয়ে আসতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *