Twitter-এর মালিকানা সম্পূর্ণরূপে নিজের হাতে আনার পর, ইলন মাস্ক এই জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে অনেক বড় পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছেন। ইতিমধ্যেই তিনি এই মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্মে একাধিক নতুন ফিচার যুক্ত করার কথা জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, Twitter কেনার চুক্তি চূড়ান্ত করার পর মাস্ক অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ হাজার হাজার মানুষকে চাকরিচ্যুত করেছেন। সেক্ষেত্রে এবার তিনি WhatsApp-এর মত আদলে কিছু করার চেষ্টা করছেন বলে মনে হচ্ছে। তবে, নতুন কোনো অ্যাপ্লিকেশন চালু করার বদলে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এই ব্যক্তি Twitter-এ WhatsApp সদৃশ সুবিধা দিতে চাইছেন।
WhatsApp-এর মত সেজে উঠবে Twitter, ঠিক কী ভাবছেন মাস্ক?
এই মুহূর্তে শোনা যাচ্ছে যে, মাস্ক, টুইটারে হোয়াটসঅ্যাপের মত ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং ফিচার যুক্ত করতে চাইছেন। দ্য ভার্জ এবং অন্যান্য কিছু মিডিয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে বলা যায় যে তিনি এই প্ল্যাটফর্মে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন, ভয়েস এবং ভিডিও কলের মত বৈশিষ্ট্যও যুক্ত করতে চাইছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, মাস্ক বলেছেন যে তাঁরা চান প্ল্যাটফর্মের ইউজাররা যাতে তাদের গোপনীয়তা নিয়ে চিন্তা না করে (পড়ুন ডেটা ফাঁস, মেসেজ লিক বা অ্যাকাউন্টে গুপ্তচরবৃত্তির আশঙ্কা না করে) নিশ্চিন্তে টুইটারে সময় কাটাতে পারেন। আর তারই জন্যে সংস্থা নতুন কিছু ভাবছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে (মানে মাস্কের হাতে টুইটারের রাশ যাওয়ার অনেক আগেই) মাইক্রোব্লগিং সাইটটি তার ব্যবহারকারীদের ডেটা লঙ্ঘন সম্পর্কে অবহিত করেছিল। এই সময় সংস্থাটি জানিয়েছিল যে, প্রায় এক বছর ধরে বাইরের লোকেরা টুইটারে বিদ্যমান ব্যবসায়িক প্রোফাইল এবং তাদের গ্রাহকদের মধ্যে প্রেরিত ডিএম (DM) অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হয়েছিল। সেক্ষেত্রে এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই কারণেই মাস্ক টুইটারকে একটি নিরাপদ চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছেন। এই জন্য তিনি ইতিমধ্যেই প্ল্যাটফর্মটিকে একটি ‘সুপার অ্যাপ’ বানানোর কথা বলেছেন।
Signal-এর প্রতিষ্ঠাতার কাছে সাহায্য চেয়েছেন মাস্ক
সাম্প্রতিক কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, মাস্ক, টুইটারের প্রাইভেসি সিস্টেম উন্নত করতে নাকি সিগন্যালের নির্মাতা মক্সি মারলিনস্পাইকের সাথেও আলোচনা করেছেন। এক্ষেত্রে মাস্ক জানিয়েছেন যে, মারলিনস্পাইক টুইটারে কাজ করেছেন এবং তিনি অনেক বছর আগে টুইটারে এনক্রিপশনের সুবিধা যুক্ত করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তখন তা হয়নি যারপর তিনি সিগন্যাল তৈরি করেন। তাই আর কয়েকদিনের মধ্যে যদি দুইয়ে দুইয়ে চার হয় অর্থাৎ যদি সমস্ত জল্পনা সত্যি হয়, তাহলে টুইটারে ভয়েস-ভিডিও চ্যাট এবং কলিংয়ের সুবিধা পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।