জিবি নয়, প্রতি সেকেন্ডে পাবেন 1 টিবি স্পিড, 5G-র তুলনায় 1000 গুন দ্রুত ডাউনলোড স্পিড দেবে 6G

মাত্র কিছুদিন আগেই মানুষ 5G নেটওয়ার্কের সাথে পরিচিত হয়েছে। তবে, মনে করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই বিশ্বব্যাপী লঞ্চ করা হতে পারে 6G নেটওয়ার্কও। সম্প্রতি জুনিপার রিসার্চের…

মাত্র কিছুদিন আগেই মানুষ 5G নেটওয়ার্কের সাথে পরিচিত হয়েছে। তবে, মনে করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই বিশ্বব্যাপী লঞ্চ করা হতে পারে 6G নেটওয়ার্কও। সম্প্রতি জুনিপার রিসার্চের একটি রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, আগামী ২০২৯ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে 6G নেটওয়ার্ক লঞ্চ করা হতে পারে। আর ২০৩০ সালের মধ্যেই 6G কানেকশনের সংস্থা বিশ্বব্যাপী প্রায় ২৯০ মিলিয়নে (২৯ কোটি) পৌঁছে যেতে পারে। আর এটি 5G-এর থেকে ১,০০০ গুন বেশি ডাউনলোড স্পিড অফার করবে।

তবে রিপোর্টে এটিও নিশ্চিত করা হয়েছে যে, এই কাজ করার জন্য টেলিকম অপারেটরগুলিকে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধান করতে হবে। যার মধ্যে হাই ফ্রিকোয়েন্সির স্পেকট্রাম ব্যবহার করার ফলে উদ্ভূত নেটওয়ার্ক সমস্যাগুলি অন্তর্ভূক্ত থাকবে।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, 6G-তে হাই ফ্রিকোয়েন্সি স্পেকট্রামের ব্যবহার বর্তমান 5G নেটওয়ার্কের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি গতি প্রদান করতে সক্ষম হবে। আর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, 6G ইন্টারনেট ডিভাইসে প্রতি মিলিসেকেন্ডে ১ টিবি স্পিড সরবরাহ করতে সক্ষম হবে, যা 5G-র থেকে ১,০০০ গুন বেশি।

তবে এই নেটওয়ার্ক থেকে উদ্ভূত সমস্যা সমাধান করা টেলকোদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে। এর কারণ হল, এর আগে কোনো ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি এতটা হাই ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করেনি, যা 6G ব্যবহার করবে। তাই যেখানে 5G এমএম ওয়েভই (mmWave) একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ, সেখানে টেলিকম অপারেটরদের কাছে গ্রাহকদের 6G অফার করা যথেষ্ট মুশকিলের কাজ হবে।