100HP-র স্পোর্টস বাইক Pulsar RS 200 এর থেকেও হালকা! Extrema এডিশনে চমক Aprilia-র

Avatar

Published on:

Aprilia RS660 Extrema Limited Edition Bike Launched

ফুল-ফেয়ার্ড স্পোর্টস বাইকগুলির চাহিদা বরাবরই থাকে অনেক বেশি। বিশেষত যুব সম্প্রদায়ের কাছে যেন নয়নের মনি তারা। বিভিন্ন বাইক নির্মাতাই এই সত্যতা স্মরণে রেখে তাদের ঝুলিতে এনেছেন একের পর এক স্পোর্টস বাইক। এবার ইতালির জনপ্রিয় বাইক নির্মাতা এপ্রিলিয়া (Aprilia) এর হাত ধরে হাজির RS660 স্পোর্টস বাইকের নতুন সংস্করণ। সবচেয়ে মজার বিষয় হল আগের তুলনায় এর ওজন কমে হয়েছে মাত্র ১৬৬ কেজি। যা প্রায় Bajaj Pulsar RS 200 এর সমান। ইতালির মিলন শহরে আয়োজিত মোটরবাইক শো EICMA-তে সংস্থার তরফে দেখানো হয়েছে বাইকটি।

এমনকি এ বছরে EICMA-তে এপ্রিলিয়ার আনা একমাত্র পেট্রল চালিত বাইক হল RS660 Extrema। যদিও তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বেস্ট সেলিং বাইকের মুকুট কিন্তু এর মাথাতেই রয়েছে। বাইকটির দাম সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। তবে বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত এই স্পোর্টস বাইকটি কেবলমাত্র অল্প সংখ্যক গ্রাহকের কাছেই পৌঁছাবে বলে জানা গিয়েছে অর্থাৎ এটি লিমিটেড সংস্করণে বাজারে আসছে।

Aprilia RS660 Extrema এডিশনে নতুন কী

RS660 Extrema-এর এই নতুন সংস্করণে SC Project-এর থেকে নেওয়া হালকা এগজস্ট পাইপ লাগানো রয়েছে। এর কার্বন সাইলেন্সারটি বাইকের ডান দিকে অবস্থিত, পূর্ববর্তী সংস্করণে দেওয়া হয়েছিল আন্ডারবডি (Underbody) একজস্ট সিস্টেম। সাইলেন্সারটির উপরে কালো রংয়ের অ্যানোডাইজড ব্র্যাকেট লাগানো রয়েছে। সেই কারণেই পিলিয়নের পা রাখার জায়গাটি ওজন কমানোর জন্য সরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

এর সামনের অংশেও কার্বন ফাইবার যুক্ত মাড গার্ড এবং নতুন ডিজাইনের হালকা বেলি প্যান ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটির সমগ্র শরীরে সাদা ও লাল রঙের কারুকার্য চোখে পড়ে। Extrema-তে সিঙ্গেল সিট লাগানো রয়েছে। তবে পিছনে কাউকে বসাতে গেলে আলাদা প্যাসেঞ্জার সিট লাগানোর প্রয়োজন পড়বে।

এছাড়াও বাইকটির সফটওয়্যারেও বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে যার ফলে কোনও কম্পোনেন্ট না বদলেই গিয়ারবক্সটি রেস শিফ্ট মোডে কনফিগার করা যাবে। উপরন্তু এতে মিলবে ট্র্যাকশন কন্ট্রোল, কর্নারিং এবিএস, ইঞ্জিন ব্রেকিং, ইঞ্জিন ম্যাপস এবং হুইলি কন্ট্রোলের মত অ্যাডভান্স ফিচার।

Aprilia RS660 Extrema এর অলিন্দে রয়েছে ৬৬০ সিসির প্যারালাল টুইন ইঞ্জিন। সর্বোচ্চ ১০০ এইচপি শক্তি এবং ৬৭ এনএম টর্ক উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে এর। ইঞ্জিনের সক্ষমতা অনুযায়ী বাইকের ওজন যথার্থ হওয়ায় এতে আদর্শ পাওয়ার-টু-ওয়েট অনুপাত মিলবে। ভারতে বাইকটি লঞ্চ হবে কিনা, সে বিষয়ে কিছু বলেনি এপ্রিলিয়া।

সঙ্গে থাকুন ➥