রাস্তায় নিয়ে বেড়োলে সবাই তাকাবে, Jawa Perak কেনা কতটা লাভজনক

Avatar

Published on:

Buying a Used Jawa Perak is Profitable

Classic Legends এর হাত ধরে পুর্নজন্ম পেয়ে ২০২০ সালে নব কলেবরে নতুন মোটরসাইকেলের লঞ্চ করেছিল Jawa। আবেগকে হাতিয়ার করে সেই পুরনো দিনের রেট্রো স্টাইলকে ফিরিয়ে এনেছিল তারা। সংস্থার ববার স্টাইলের ক্রুজার বাইক Perak প্রথম দর্শনেই হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল। Royal Enfield এর আধিপত্যের কারণে বেশি সাফল্য না পেলেও নিজ গুণে মোটরসাইকেল সমাজে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে এটি। সিক্স-স্পিড গিয়ার বক্স যুক্ত সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন সমৃদ্ধ Jawa Perak বাস্তবে যথেষ্টই শক্তিশালী মোটরসাইকেল। এখন দাম শুরু ২.১২ লাখ টাকা (এক্স শোরুম, কলকাতা) থেকে। তবে ভাল অবস্থায় থাকা একটি সেকেন্ড হ্যান্ড Jawa Perak পুরনো গাড়ি কেনাবেচার দোকানে সহজেই ১.৭ লাখ থেকে ১.৯ লাখের মধ্যে পেয়ে যেতেই পারেন। কেনার পূর্বে বাইকটির ভালো ও মন্দ দিকগুলি জেনে নিন।

Jawa Perak ভাল দিক

Jawa Perak এর অসাধারণ ডিজাইন তার অন্যতম প্লাস পয়েন্ট৷ রাস্তায় সকলের আকর্ষণ কাড়তে পটু এটি। এর ববার স্টাইল ও সাথে টিয়ার ড্রপ আকৃতির ফুয়েল ট্যাঙ্ক ও ভাসমান সিট লুকসে এক অন্য মাত্রা যোগ করেছে। রাস্তায় এর উপস্থিতি খুব দৃষ্টিনন্দন। ৩৩৪ সিসির ইঞ্জিন বেশ বহুমুখী ও শক্তিশালী। মিড রেঞ্জ ও টপ এন্ড পারফরম্যান্স নজর কাড়ার মত। এটি সর্বোচ্চ ৩০ বিএইচপি ক্ষমতা ও ৩১ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে সক্ষম। একে যোগ্য সঙ্গত দেবে ছয় গতির গিয়ারবক্স।

শহরের ব্যস্ততম রাস্তাতেও স্বাচ্ছন্দের সঙ্গে চলা যায় একে নিয়ে। বাইকটির ছোট জায়গায় ঘুরতে পারার ক্ষমতার জন্য ব্যস্ত ট্রাফিকের মধ্যেও দ্রুততার সঙ্গে চলাচল করা সম্ভব। উপরন্তু বাইকটির রাইড কোয়ালিটি অসাধারণ বললেও অত্যুক্তি হবে না। উঁচু-নিচু খারাপ রাস্তাতেও অনায়াসে চলতে পারে Jawa Perak। ফলে রাইডারের মনে আত্মবিশ্বাস জোগাবে।

Jawa Perak খারাপ দিক

Jawa Perak এর বিল্ড কোয়ালিটি সন্তোষজনক নয়। বাইকটির ফিট ও ফিনিশ উন্নতমানের না হওয়ার কারণে ব্যবহারের সঙ্গে তা আরোও দ্রুত খারাপ হতে থাকে। যেহেতু এই বাইকটি সাবেকিআনাকে কেন্দ্র করে তৈরি তাই অনেক ধরনের আধুনিক ফিচার দেওয়া হয়নি। যেমন এর ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারে শুধুমাত্র সময় ছাড়া আর কোন কিছুই দেখায় না। গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর, এলইডি হেড লাইট ও ডিআরএলের মতো মডার্ন ফিচারগুলি সম্পূর্ণরূপে বাদ পড়েছে এই বাইকে।

যদিও স্ট্যান্ডার্ড সেফটি ফিচার হিসাবে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস দেওয়া রয়েছে‌‌। আরেকটি সমস্যার হল সিঙ্গেল সিট। একটি মাত্র সিট থাকায় ডিজাইনের দিক দিয়ে ভালো লাগলেও বাস্তবিক ক্ষেত্রে তা মানানসই নয়‌। কাস্টমাইজেশন না করলে পেছনে কাউকে বসানো কোনওভাবে সম্ভব নয়‌। বলা যেতে পারে, Jawa Perak খুব একটা প্রাকটিক্যাল মডার্ন ক্লাসিক মোটরসাইকেল নয়।

সঙ্গে থাকুন ➥