নামমাত্র খরচে প্রাইভেট স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে সিনেমা দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে Inox

Avatar

Published on:

শেষবার যখন হলে গিয়ে সিনেমা দেখেছিলাম তখন চারপাশে এত সংক্রামক ভাইরাসের আতঙ্ক ছিলোনা। ছিলো মানুষ, যারা নিজেদের সংস্কৃতিকে ভালোবাসে, সিনেমাকে ভালোবাসে। তারপর যেন একযুগ হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে যদিও খুলেছে সিনেমা হল। তবে অবশ্যই অনেক সাবধানতা, অনেক বিধিনির্দেশ মেনে। কিন্তু ভাইরাসের কারণে অনেকেই ভয় পাচ্ছেন হলে যেতে। আপনিও যদি সেই তালিকায় থাকেন তাহলে এবার আপনার জন্য সুখবর। কারণ সিনেমাপ্রেমীদের মুখে হাসি ফোটানোর মতো একটি ঘোষণা করেছে প্রখ্যাত সিনেনা মাল্টিপ্লেক্স সংস্থা আইনক্স (Inox)। সারাদেশে তাদের বিভিন্ন হলগুলিতে সিনেমা দেখানোর ক্ষেত্রে তারা এবার প্রাইভেট স্ক্রিনিংয়ের সুযোগ নিয়ে আসতে চলেছে এবং সেটাও অত্যন্ত স্বল্প খরচে!

‘প্রাইভেট স্ক্রিনিং’ অর্থাৎ চাইলে এখন আপনি শুধুমাত্র আপনার বেছে নেওয়া পরিচিত পরিজনদের সাথে নিয়ে যে কোন সিনেমা উপভোগ করতে পারবেন। অন্য কোন দর্শক সেখানে প্রবেশের অনুমতি পাবেনা। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে গোটা অডিটোরিয়ামটি বুক করতে হবে। শুনে মনে হতে পারে পুরো ব্যাপারটা বুঝি একটা বিরাট অঙ্কের খরচসাপেক্ষ। ঠিক তেমনটা নয়, Inox জানাচ্ছে মাত্র ২,৯৯৯ টাকা বা তারও কম খরচে তারা মানুষের কাছে প্রাইভেট স্ক্রিনিংয়ের পরিষেবা পৌঁছে দিতে চায়!

নিঃসন্দেহে কোভিড-পরবর্তী সময়ে মানুষকে আবারও হলমুখী করে তুলতে প্রাইভেট স্ক্রিনিং একটি চমৎকার উদ্যোগ। উল্লেখ্য, অডিটোরিয়াম বুক করার সময় আপনি সর্বপ্রকার স্বাধীনতা পাবেন। সুতরাং ইচ্ছেমতো তারিখ ও সময়ে গুটিকয়েক প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে সিনেমা উপভোগ করার ক্ষেত্রে আর কোন বাঁধা-ই থাকলোনা। এক্ষেত্রে আপনার পছন্দই শেষ কথা বলবে। এমনকি চাইলে আপনি সাম্প্রতিক সময়ের চলচ্চিত্রগুলির বাইরে পুরোনো কোন ব্লকব্লাস্টার ছবিও বেছে নিতে পারবেন!

প্রাইভেট স্ক্রিনিংয়ের মতো ফাটাফাটি পরিষেবার সাথে মানুষের পরিচয় করিয়ে দিতে পেরে Inox কর্তৃপক্ষও বেশ খুশি। অতিমারিকে মোকাবিলা করার জন্য নিজেদের মাল্টিপ্লেক্স গুলিতে তারা প্রয়োজনীয় সামাজিক দূরত্ব, যথাযথ স্যানিটাইজেশন, কন্ট্যাক্টবিহীন এন্ট্রি এবং পেমেন্ট, ই-টিকিট, উন্নত বাতাস পরিশুদ্ধিকরণ এবং থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা নিয়ে প্রস্তুত। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কোভিড সংক্রান্ত সব নির্দেশই তারা পালন করে চলেছে বলে তাদের দাবী।

আইনক্সের চীফ মার্কেটিং অফিসার সৌরভ বর্মার বক্তব্য – “দশকের পর দশক জুড়ে সিনেমা হাজারো সমস্যার মধ্যেও আমাদের মানসিক প্রশান্তি এনে দিয়েছে। অতিমারি পরবর্তী সময়েও এই ধারা অক্ষুণ্ণ থাকবে। ফলে মানুষ যাতে আরো অনেক নিবিড়ভাবে সিনেমাকে উপভোগ করতে পারেন, আমরা সবসময় তারই প্রচেষ্টা করে যাবো।”

সঙ্গে থাকুন ➛