বিনামূল্যে ইন্টারনেট ছাড়াই স্মার্টফোনে দেখা যাবে লাইভ টিভি, বিরোধিতা Samsung, Qualcomm এর

Avatar

Published on:

Smartphone Live TV Broadcast

এখন আমরা বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রেও যেমন স্মার্টফোন (Smartphone) ব্যবহার করি, ঠিক তেমনি এর মাধ্যমে বিনোদন থেকে শুরু করে কথা বলার সুবিধাও পাওয়া যায়। তবে শীঘ্রই দেশের সমস্ত স্মার্টফোনে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি ছাড়া লাইভ টিভিও দেখা যেতে পারে। হ্যাঁ, বিষয়টি একদম সত্যি। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকারের একটি নতুন নীতি অনুযায়ী, এবার ভারতের সমস্ত স্মার্টফোনে লাইভ টিভি সম্প্রচার বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। তবে, সরকার এই প্রস্তাব পেশ করলেও সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছে Samsung এবং Qualcomm-এর মতো সংস্থাগুলি।

পুরনো ফোন কি জাঙ্ক হয়ে যাবে?

জানা গেছে যে, মোবাইলনির্মাতা সংস্থাগুলি যদি সরকারের প্রস্তাব না মানে, তাহলে সব পুরনো ফোনই জাঙ্ক হয়ে যাবে, কিন্তু বাস্তবে তা হবে না। প্রকৃতপক্ষে, সরকার শুধুই প্রস্তাব পেশ করেছে। এখনো এই নীতি বাস্তবায়িত হয়নি।

স্যামসাং এবং কোয়ালকমের যুক্তি কী?

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্মার্টফোনে লাইভ টিভি সম্প্রচারের অপশন দিতে হলে হার্ডওয়্যারে বড়সড় পরিবর্তন আনতে হবে। এর জন্য ডিভাইস পিছু খরচ হবে প্রায় ৩০ ডলার অর্থাৎ ২,৪৯৮ টাকা। ফলে, ব্র্যান্ডগুলিকে ডিভাইসের দামও বাড়াতে হবে।

সরকারের যুক্তি কী?

সরকার চায় কোনো সেলুলার নেটওয়ার্ক ছাড়াই প্রতিটি স্মার্টফোনে সরাসরি লাইভ টিভি দেখানো হোক। সরকার মনে করছে যে, স্মার্টফোনে সরাসরি লাইভ টিভি দেখানো হলে টেলিকম নেটওয়ার্কের চাপ কমে যাবে।

কোন কোন দেশে মোবাইলে লাইভ টিভি দেখানো হয়?

উত্তর আমেরিকায় লাইভ টিভি দেখানো হয়ে থাকে যা, এটিএসসি ৩.০ নামে পরিচিত। এতে কোয়ালিটি পিকচারের জন্য লোকেটিং টিভি সিগন্যালের সাপোর্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো কিছু নির্বাচিত দেশে সরাসরি স্মার্টফোনে টিভি চ্যানেল সম্প্রচার করা হয়ে থাকে।

মোবাইল সংস্থাগুলির যুক্তি কী?

স্মার্টফোন সংস্থাগুলির মতে, ভারতে বিদ্যমান স্মার্টফোনগুলিতে এটিএসসি ৩.০ প্রযুক্তি নেই। আর এই ফিচার ব্যবহার করলে স্বাভাবিক ভাবেই ডিভাইসের দাম অনেক খানি বেড়ে যাবে। এছাড়া Samsung, Qualcomm, Ericsson এবং Nokia দাবি করেছে যে, সরাসরি ব্রডকাস্টিং-এর ফলে ফোনের ব্যাটারিও দ্রুত ডিসচার্জ হবে। একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, Apple এবং Xiaomi-এর মত ব্র্যান্ডগুলিও সরকারের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। উল্লেখ্য, এই প্রস্তাবটি সত্যি সত্যিই বাস্তবায়িত করা হবে কিনা, সে প্রসঙ্গে সরকার বা স্মার্টফোন নির্মাণ সংস্থাগুলির কেউই এই বিষয়ে কোনো মন্ত্যব্য করেনি।

সঙ্গে থাকুন ➥