প্রতি বছর রাস্তায় মরবে না লাখ লাখ মানুষ, সহজেই দুর্ঘটনা আটকাবে গাড়ির এই ফিচার

Avatar

Published on:

Car Safety Features For Avoiding Accidents

গতির প্রতি ভারতীয়দের ভালোবাসা একটু বেশিই। আর চালকের আসনে বসলে সেই প্রেম যেন মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। রাস্তার পাশে সর্বোচ্চ গতির মাপ লেখা ফলকের কোনরকম তোয়াক্কা না করেই গাড়ি হাওয়ায় ভাসানোর প্রতিযোগিতা চলে রমরমিয়ে। ফলস্বরূপ চরম বিপত্তি ঘটতে দেখা যায়। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে ৫ লাখের বেশি পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে এদেশে। যা প্রায় ১.৬৮ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু কে কার কথা শোনে!

ইদানিং দেশে ‘মাখনের মত’ এক্সপ্রেসওয়ে ও হাইওয়ে পথ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলেছে। তাই সঠিক উপায় অবলম্বন করা না হলে, এমন অঘটনের পরিমাণ যে দিনদিন বেড়েই চলবে, তা আর বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। তাহলে এর সমাধান কী? এর কোন নির্দিষ্ট উপায় নেই। গাড়ি চালানোর প্রকৃতির মৌলিক পরিবর্তন না ঘটালে তা সম্ভব নয়। তবুও বিশেষজ্ঞদের মতে কিছু নিয়ম পালন করলে আনেকাংশেই দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। চলুন সেগুলি কী, দেখে নেওয়া যাক।

অভিজ্ঞদের একাংশ গাড়িতে ক্রুজ কন্ট্রোল ও অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্স সিস্টেম বা অ্যাডাস প্রযুক্তি উপলব্ধ থাকার বিষয়ে সওয়াল করেছেন। তাঁদের ধারণা উক্ত ফিচার্সগুলি পথ দুর্ঘটনা কমানোর অন্যতম সমাধান দিতে সক্ষম। তবে ক্রুজ কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে যেই সীমাবদ্ধতাগুলি রয়েছে, অ্যাডাস সেগুলি কাটিয়ে উঠতে চলককে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে। তবে ওভার স্পিডিংয়ের বিষয়ে সঠিক সুরাহা দিতে অক্ষম।

স্পিড লিমিটার

ভারতে বিক্রিত গাড়িগুলিতে এখন আর স্পিড লিমিটার দেওয়া হয় না। আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হওয়া প্রতিটি মডেলে যা আবশ্যক। স্পিড লিমিটেড হচ্ছে এমন একটি ফিচার, যার মাধ্যমে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ বেঁধে দিতে পারেন চালক। ফলে গাড়ি চালানোর সময়ে অসাবধানতা বশতও ওভার স্পিডিংয়ের কোন সম্ভাবনা থাকে না। নিচে স্পিড লিমিটারের কিছু সুবিধা নিয়ে আলোচনা করা হল।

তেলের খরচ কমায় : কথিত রয়েছে মধ্যম গতিতে একটানা গাড়ি চালালে জ্বালানির খরচ বাঁচে। এতে গাড়ির মালিকের আর্থিক সাশ্রয় হয় বৈকি।

সস্তা : অ্যাডাস বাদে অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে হাই রেজোলিউশন ক্যামেরা এবং দামি রাডারের প্রয়োজন পড়ে। স্পিড লিমিটারের ক্ষেত্রে এসবের কোন প্রয়োজন নেই।

আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ : গতির উচ্চ সীমা পার করার প্রবণতা দূর করতে স্পিড লিমিটারের জুড়ি মেলা ভার। এতে একদিকে যেমন চালকের মানসিক চাপ কমে, আবার গাড়িতে নিয়ন্ত্রণ ভালোভাবে বজায় থাকে।

এখন বিষয় হচ্ছে, ভারতের রাস্তায় চলাচলকারী সমস্ত গাড়িতে এই স্পিড লিমিটার দেওয়ার জন্য সরকারের সায় থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে কেবলমাত্র কয়েকটি প্রিমিয়াম মডেলেই এই বৈশিষ্ট্য উপলব্ধ রয়েছে।

সঙ্গে থাকুন ➥