Google Pixel: ভারতে তৈরি স্মার্টফোন বিক্রি হবে আমেরিকা-ইউরোপে, শিল্পমহলে উচ্ছ্বাস

গুগল বর্তমানে ভারতকে তাদের মূল রপ্তানি কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় আছে। মূলত ভবিষ্যতে এদেশের মাটিতে নির্মিত পিক্সেল স্মার্টফোন ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করার…

গুগল বর্তমানে ভারতকে তাদের মূল রপ্তানি কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় আছে। মূলত ভবিষ্যতে এদেশের মাটিতে নির্মিত পিক্সেল স্মার্টফোন ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করার লক্ষ্যেই এমনটা পরিকল্পনা করছে টেক জায়ান্টটি। আর এই উদ্দেশ্য পূরণের জন্য গুগল ইতিমধ্যেই ফক্সকন এবং ডিক্সন -এর সাবসিডিয়ারি সংস্থা প্যাজেট ইলেকট্রনিক্স -এর সাথে হাত মিলিয়েছে। জানা গেছে, খুব শীঘ্রই সংস্থাটির তত্ত্বাবধানে পিক্সেল স্মার্টফোনের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করা হবে। প্রসঙ্গত, সুন্দার পিচাই পরিচালিত ব্র্যান্ডটি ইতিমধ্যেই ফক্সকনের সহায়তায় তামিলনাড়ু ভিত্তিক প্লান্টে ডিভাইসের উৎপাদন শুরু করে দিয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।

এই প্রজেক্টের সাথে যুক্ত এক ব্যক্তি জানিয়েছে, “গুগল একটি বড় ব্র্যান্ড, যা চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে কমপাল -এর সাথে অংশীদারিত্বে যাওয়ার মাধ্যমে ডিক্সন টেকনোলজিস -এর গ্রাহক তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে। সংস্থাটি ফক্সকনের সাথে উৎপাদন কার্য ভাগাভাগি করে নেবে।” এক্ষেত্রে জানা গেছে, পিক্সেল স্মার্টফোনগুলির বেস ভ্যারিয়েন্ট তৈরি করবে ডিক্সন টেকনোলজিস। আর ফক্সকন -এর উপর প্রো ভ্যারিয়েন্টগুলি তৈরি করার দায়িত্ব থাকবে।

গুগল এই মুহূর্তেই ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ পিক্সেল ফোন নির্মাণ সম্পর্কে কিছুই নিশ্চিত করেনি। তবে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর আগেই অর্থাৎ ২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে সম্ভবত টেক জায়ান্টটি তাদের এই পদক্ষেপ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবে।

প্রসঙ্গত, পিক্সেল স্মার্টফোনের চাহিদা ভারতে খুবই কম। তাই গুগল কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা চালু করা ‘প্রোডাকশন-লিঙ্কড ইনসেনটিভ’ (পিএলআই) স্কিমের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে ফক্সকন এবং ডিক্সন প্লান্টগুলি থেকে স্থানীয়ভাবে ফোন উৎপাদন করার পরিকল্পনায় আছে। যার মধ্যে কিছু শতাংশ এদেশের জন্য বরাদ্দ থাকবে। আর বেশিরভাগ পিক্সেল ফোনই বাইরের দেশে রপ্তানি করা হবে৷ এক্ষেত্রে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই মূলত এদেশে নির্মিত ফোনগুলি চালান করা হবে৷

রিপোর্ট অনুসারে, পিক্সেল স্মার্টফোনের বাণিজ্যিক উৎপাদন সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হবে। আর উৎপাদন স্থিতিশীল হলেই রপ্তানির কাজে লেগে পড়বে গুগল।