দু’চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে রীতিমতো জমি শক্ত করেছে বাজাজ অটো। বাজারের অংশীদারিত্ব আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে কোম্পানি। এর জন্য নতুন এবং আরও কম দামি স্কুটার আনার পরিকল্পনা বাজাজের। নতুন ডিজাইনের কোম্পানির একটি আসন্ন ইলেকট্রিক স্কুটার সম্প্রতি ধরা দিয়েছে ক্যামেরায়। দাবি করা হচ্ছে, সেটি বাজাজ চেতক (Bajaj Chetak) ই-স্কুটারের নতুন তথা সবথেকে সস্তা ভ্যারিয়েন্ট হতে পারে।
Bajaj Chetak ইলেকট্রিক স্কুটারের নতুন ভেরিয়েন্ট
সম্প্রতি পুনেতে বাজাজের নতুন ইলেকট্রিক স্কুটার পরীক্ষামূলক অবস্থায় দেখা গিয়েছে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, এতে TC নম্বর প্লেট-সজ্জিত (অস্থায়ীভাবে নিবন্ধিত) চেতক দেখা গিয়েছে, যা মূলত পরীক্ষার উদ্দেশ্যে কোম্পানি দ্বারা নিবন্ধিত করা হয়েছে। ই-স্কুটারটি তার প্রিমিয়াম ভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায় আয়তনে ছোট হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের দাবি, যেখানে পরীক্ষা করতে দেখা গিয়েছে, সেখানে খোলা রাস্তায় স্কুটারটি ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার বেশি গতিতে চলতে পারছিল না। যদি তা সত্যিই সত্য হয়, তাহলে এটি তুলনামূলকভাবে বাজাজ অটোর সাশ্রয়ী মূল্যের একটি ইলেকট্রিক স্কুটার হতে চলেছে। আশা করা হচ্ছে, মডেলটির দাম হতে পারে ৮০,০০০ টাকা (এক্স-শোরুম)।
বর্তমানে, সবচেয়ে সস্তা চেতক হল বাজাজ চেতক ২৯০৩, যার দাম ৯৫,৯৯৮ টাকা (এক্স-শোরুম)। এপ্রিল, ২০২৫ থেকে ভর্তুকি অর্ধেক কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবং পর্যায়ক্রমে যদি তা বন্ধ হয়ে যায় সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে এই ইলেকট্রিক স্কুটার বাজারে আনতে চলেছে কোম্পানি। বর্তমান এন্ট্রি-লেভেল চেতকের দাম এই বছরের শেষের দিকে ১ লাখ টাকার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।
যদি তা হয় তাহলে কম দামি ইলেকট্রিক স্কুটারের ক্ষেত্রে বাজাজের কাছে বিকল্প থাকবে না। কারণ বর্তমান বাজারের পরিস্থিতি অনুযায়ী, ১ লাখ টাকা দামি স্কুটার কেনা অনেকের কাছে মানসিক ও আর্থিক বাধা। সেক্ষেত্রে নতুন ভ্যারিয়েন্ট দামে কম হওয়ায় বাজাজ অটোকে বাড়তি বুস্ট দিতে পারে। এখন এই স্কুটার কী কী ফিচার্স ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে বাজারে তার উপর নজর সবার।