পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমাতে সমগ্র বিশ্ব ইলেকট্রিক ভেহিকেলকে প্রাধান্য দিচ্ছে। কারণ জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ির থেকে নির্গত কালো ধোঁয়াকে পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন পরিবেশবিদগণ। তবে বৈদ্যুতিক যানবাহন কিনতে অনেকেরই উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। যার প্রধান কারণ এর উচ্চমূল্য। যদিও এই চিত্রটা বদলাতে ভারত সরকার ইতিমধ্যেই FAME-II প্রকল্পের ঘোষণা করেছে। যার আওতায় থাকা সংস্থার গাড়ির দামে ভর্তুকি দেবে কেন্দ্র। এদিকে ২০২২-এ এমন বেশ কয়েকটি গাড়ি ভারতে আসতে চলেছে যেগুলির দাম ১০ লাখ টাকার কম। আজকের এই প্রতিবেদনে এমনই ৪টি ইলেকট্রিক গাড়ির সন্ধান রইল।
Renault Zoe
ইউরোপের বাজারে রেনল্ট জো (Renault Zoe) একটি এন্ট্রি-লেভেল ইলেকট্রিক গাড়ি হিসেবে অতি জনপ্রিয়। খুব শীঘ্রই ভারতের বাজারেও আসতে চলেছে এটি। কারণ অটো এক্সপো ২০২০-এ এই ছোট হ্যাচব্যাক গাড়িটির প্রদর্শন করা হয়েছিল। বিশ্ববাজারে এর মডেলটির রেঞ্জ ৩৮৫ কিমি এবং এতে রয়েছে ৫২ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাক।
Renault K ZE
রেনল্ট কে জেডই (Renault K ZE)-র দাম রেনল্ট জো (Renault Zoe)-এর তুলনায় সামান্য বেশি। এটি আবার কুইড (Kwid) হ্যাচব্যাক গাড়িটির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। যদিও এতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশগুলি এর আইসিই (ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিন) ভ্যারিয়েন্টটির তুলনায় আরও শক্তপোক্ত। সিটি কে জেডই (City K ZE) নামে ইতিমধ্যেই চীনের বাজারে পা রেখেছে এটি। এই গাড়িটিও অটো এক্সপো ২০২০-এ প্রদর্শন করা হয়েছিল।
Mahindra EKUV 100
অটো এক্সপো ২০২০-এ ইকেইউভি ১০০ (EKUV 100) গাড়িটি সর্বসমক্ষে এনেছিল মাহিন্দ্রা (Mahindra)। যে সকল ক্রেতারা প্রথমবার বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনবেন, এবং যারা ব্যয়বহুল ও বড় এসইউভি গাড়ি পছন্দ করেন না, এটি তাদের জন্য সেরা পছন্দ হতে পারে। গাড়িটির আইসিই মডেলটির থেকে অনেক সরঞ্জামই এতে ব্যবহার করা হয়েছে। ভারতের বাজারে লঞ্চ হলে এর দাম হতে পারে ৮ লাখ টাকার কাছাকাছি।
Tata Tiago EV
ভারতে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে গতিশীলতায় শামিল টাটা মোটর্স (Tata Motors)। নতুন বছরে সংস্থাটি টাটা টিয়াগো ইভি (Tata Tiago EV) বৈদ্যুতিক গাড়িটি আনতে চলেছে। যার দাম রাখা হতে পারে ১০ লাখ টাকার কাছাকাছি। এতে জিপট্রন (Ziptron) পাওয়ারট্রেন দেওয়া হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।