'এই জয়ে ওদের মুখে….', পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয়ের পর বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্পেশাল মেসেজ শান্তর
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়কে 'স্পেশাল' হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। তিনি বলেন- "এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ জয়, কারণ গত মাসে বাংলাদেশে কন্ডিশন আমাদের জন্য কঠিন ছিল। এখনও কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। তবে বাংলাদেশে আমরা একে অপরকে সমর্থন করি এবং আমি খুশি যে এই জয় তাদের মুখে একটু হাসি এনে দিয়েছে।"
"আমরা আমাদের পারফরম্যান্সে খুশি এবং দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা আমাদের ছেলেদের আরও বেশি আনন্দ দিতে চাই। এটা আমাদের জন্য বিশেষ জয় ছিল, বিশেষ করে এখানকার গরম কন্ডিশন ও পিচের সঙ্গে আমরা যেভাবে মানিয়ে নিয়েছি তার বিবেচনায়।" শান্ত আরো বলেন যে তিনি শেষ দিনে ম্যাচটি জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন কারণ পিচে খেলা কঠিন হয়ে উঠছিল এবং তার দলে কিছু অভিজ্ঞ স্পিনার এবং ভাল ফাস্ট বোলার ছিল। "আমি মনে করি সাকিব ও মিরাজ আজ কন্ডিশন বিবেচনায় সত্যিই ভালো বোলিং করেছে এবং আমরা জানতাম ৯০ রানের লিড নিয়ে পাকিস্তান শেষ দিনে চাপে থাকবে।"
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান দল, ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩০ রানের টার্গেট দেয়। পঞ্চম দিন চা বিরতির আগে মাত্র ৬.৩ ওভারে বিনা উইকেটে বিনা উইকেটে লক্ষ্যে পৌঁছে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। ওপেনার জাকির হাসান ১৫ ও সাদমান ইসলাম ৯ রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ (৪/২১) ও বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান (৩/৪৪) একসঙ্গে ৭ উইকেট নেন।
৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। জবাবে ৫৬৫ রান করে ১১৭ রানের লিড নেয় বাংলাদেশ। সকালে এক উইকেটে ২৩ রানে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস বাড়ালেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ১৭১ রান করা মোহাম্মদ রিজওয়ান দ্বিতীয় ইনিংসেও করেন ৫১ রান। কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে কোনো সহায়তা পাননি তিনি। পাকিস্তানের মাত্র চার ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পেরেছিলেন। রিজওয়ান ছাড়াও আছেন ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক (৩৭), সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম (২২) ও বর্তমান অধিনায়ক শান মাসুদ (১৪) করেন। মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব ছাড়া একটি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৪৬ রান করেই অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।