ফের ৭৮টি Youtube নিউজ চ্যানেল ব্লক করল ভারত সরকার, অভিযোগ আইন উলঙ্ঘনের
২০২০ সালের জুন মাসের পর থেকে, ভারত সরকার কর্তৃক স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন ব্যান হওয়ার ঘটনা কোনো নতুন বিষয় নয়! তথ্য এবং নাগরিকদের সুরক্ষার কারণে সরকার এখন বেশ ওয়াকিবহাল। আর তাই কোনো বেচাল দেখলেই, কেন্দ্র, নানাবিধ ওয়েবসাইট বা অ্যাপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়। আবার ভুয়ো খবর বা হিংসা ছড়ানোর অভিযোগও ওঠে এই ধরণের প্ল্যাটফর্মগুলির বিরুদ্ধে। সেক্ষেত্রে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার, হঠাৎই ৭৮টি ইউটিউব (YouTube) নিউজ চ্যানেল এবং তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্লক করেছে ভারত সরকার। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর এই সরকারি পদক্ষেপটির কথা নিশ্চিত করেছেন।
কেন সরকারিভাবে ব্লক হয়েছে YouTube চ্যানেলগুলি?
মঙ্গলবার লোকসভায় অনুরাগ বলেন, আইটি আইন ২০০০-এর ধারা ৬৯-এ (69-A) লঙ্ঘনের কারণে ইউটিউবের চ্যানেলগুলির বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি আরও জানান যে, সরকার গত দুই বছরে ৫৬০টি ইউটিউব ইউআরএল ব্লক করেছে। এক্ষেত্রে ব্লক হওয়া ইউটিউব নিউজ চ্যানেলগুলিতে দর্শকের সংখ্যা ছিল ৬৮ মিলিয়নেরও বেশি। তামিলনাড়ুর বিরুধুনগরের কংগ্রেস সাংসদ মানিকম ঠাকুর বি-এর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য দিয়েছেন মন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক দ্বারা চলতি বছরের শুরুতেও ১৬টি ইউটিউব নিউজ চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১০টি ভারতীয় চ্যানেল এবং ৬টি পাকিস্তান পরিচালিত ইউটিউব নিউজ চ্যানেল অন্তর্ভুক্ত ছিল। ওই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনশৃঙ্খলায় দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে চ্যানেলগুলিকে আইটি অ্যাক্ট ২০২১-এর অধীনে ব্লক করা হয়েছিল।
এছাড়া গত ৫ই এপ্রিল, মন্ত্রক, জরুরি শক্তি ব্যবহার করে আইটি আইন ২০২১-এর অধীনেই ২২টি ইউটিউব নিউজ চ্যানেল এবং ৩টি টুইটার (Twitter) অ্যাকাউন্ট, ১টি ফেসবুক (Facebook) অ্যাকাউন্টসহ একটি নিউজ ওয়েবসাইট বন্ধ করেছিল। এই চ্যানেলগুলির ভিউয়ারশিপ ছিল ২৫০ কোটির বেশি। ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং ভারতের বৈদেশিক সম্পর্কের মত বিষয় নিয়ে এই চ্যানেলগুলি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করত বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল।