অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোনে হোয়াটসঅ্যাপে কল রেকর্ড করবেন কীভাবে? অ্যাপ ছাড়া উপায় আছে?
গোপনীয়তা এবং আইনি উদ্বেগের কারণে হোয়াটসঅ্যাপে কল রেকর্ডিং ফিচার নেই। তবে অন্য কৌশলে কল রেকর্ডিং করা যাবে। কাজ করবে অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন দুই ডিভাইসেই।
বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতিদিন এই অ্যাপে অ্যাক্টিভ ইউজারের সংখ্যা ২০০ কোটি। এই প্ল্যাটফর্মে গুচ্ছের ফিচার থাকলেও, গোপনীয়তা এবং আইনি উদ্বেগের কারণে কল রেকর্ডিং (WhatsApp Call Recording) করার সুবিধা নেই। তবে বেশ কিছু উপায় রয়েছে, যা কাজে লাগিয়ে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস দুই ডিভাইসেই রেকর্ড করতে পারবেন ফোন কল।
অনেক ব্যবহারকারীরাই হোয়াটসঅ্যাপে কল রেকর্ডিং ফিচার আনার জন্য অনুরোধ করেছেন মেটাকে। কিন্তু নানা কারণে সেই ফিচার আসেনি অ্যাপে। তবে বেশ কিছু থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে, যা দিয়ে অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোনে কল রেকর্ড করতে পারবেন।
কেন হোয়াটসঅ্যাপে কল রেকর্ডিং নেই?
১. কল রেকর্ডিংয়ের ফলে গোপনীয়তা লঙ্ঘন হতে পারে।
২. আইনি বিধিনিষেধ রয়েছে। কারণ সম্মতি ছাড়া কল রেকর্ড করা অনেক দেশে নিষিদ্ধ।
৩. কল রেকর্ডিং ফিচার সক্রিয় করার ফলে অপব্যবহার হতে পারে, ডেটা লঙ্ঘনের ঝুঁকি বা সংবেদনশীল কথোপকথনগুলি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
WhatsApp কল রেকর্ডিংয়ের জন্য অ্যাপ
Cube ACR
Salestrail
ACR Call Recorder
হোয়াটসঅ্যাপ কল কীভাবে রেকর্ড করবেন?
উপরের তিনটি অ্যাপের মধ্যে আমরা কিউব এসিআর দিয়ে কীভাবে ভয়েস কল রেকর্ড করা যায় সে সম্পর্কে বলবো।
- প্রথমে ফোনের সেটিংসে গিয়ে অ্যাক্সেসিবিলিটি (Accessibility) বিকল্পে ক্লিক করুন। তারপর কল রেকর্ডার কিউব অ্যাপটির কানেক্টর এনাবল করে দিন।
- এবার ডিভাইস অ্যাক্সেস সংক্রান্ত কিছু অনুমতি চাওয়া হবে, সেগুলির অনুমোদন (Allow) দিন।
- এরপর আপনি যদি 'কল রেকর্ডার কিউব এসিআর' অ্যাপের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপে কল রেকর্ড করতে চান, তবে অ্যাপের তালিকা থেকে 'WhatsApp' অপশনটি নির্বাচন করুন।
এভাবেই হোয়াটসঅ্যাপের প্রতিটি ইনকামিং ও আউটগোয়িং কল 'রেকর্ডার কিউব এসিআর' অ্যাপে রেকর্ড হয়ে যাবে।
হোয়াটসঅ্যাপ কল রেকর্ডিং অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে এটা অবশ্যই জানুন
একাধিক দেশের বিচারব্যবস্থায় এই সুবিধা আইনি নাও হতে পারে। তাই ব্যবহারকারীদের সচেতন থাকা উচিত। ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন-সহ অনেক দেশে কল রেকর্ড করার জন্য কমপক্ষে একটি পক্ষের সম্মতির প্রয়োজন। রেকর্ডিং শুধুমাত্র বৈধ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত। যেমন কোনও চুক্তি নথিভুক্ত করা বা আইনি রেকর্ডের জন্য। সব শেষ ব্যবহারকারীর ডেটা সুরক্ষা বজায় রাখা সবথেকে জরুরি।