App: এই জনপ্রিয় অ্যাপ আপনার ফোনে থাকলে চুরি করে নেবে ফেসবুকের সব তথ্য, প্লে স্টোর থেকে সরাল Google
এবার অনায়াসে যে কোনো ছবিকে কার্টুনে বদলে দেওয়ার কাজে সিদ্ধহস্ত জনপ্রিয় একটি অ্যাপ্লিকেশনের বিরুদ্ধে উঠে এলো ব্যবহারকারীদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ। আজ্ঞে হ্যাঁ, বাইরে থেকে সাদামাটা মনে হলেও সম্প্রতি Google Play-Store প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত Craftsart Cartoon Photo Tools নামক একটি অ্যাপ ব্যবহারকারীর ডিভাইসে ক্ষতিকারক কোড প্রবেশের করিয়ে তার তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে বলে প্রকাশ্যে আসে। এরপর দ্রুত Play-Store কর্তৃপক্ষ অ্যাপটিকে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলে। যদিও এর মধ্যেই প্রায় ১ লক্ষ ব্যবহারকারী তাদের ডিভাইসে আলোচ্য কার্টুন তৈরীর (Cartoonifier) অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
গুগল প্লে-স্টোর থেকে তড়িঘড়ি সরিয়ে নেওয়া হলেও বর্তমানে যে সব অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী Craftsart Cartoon Photo Tools নামক অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করছেন তারা প্রকৃত অর্থেই বড় বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন। এমন ইউজারদের প্রতি আমাদের অনুরোধ দয়া করে নিজের ফোন থেকে এখনই উল্লেখিত অ্যাপটিকে রিমুভ করুন।
যেভাবে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করছে কার্টুন তৈরীর আলোচ্য অ্যাপ
উল্লেখ্য, মোবাইল সিকিউরিটি সম্পর্কে গবেষণাকারী ফার্ম প্রাদেও (Pradeo) সর্বপ্রথম কার্টুন তৈরীর জন্য ব্যবহৃত আলোচ্য অ্যাপ্লিকেশনে FaceStealer নামক ক্ষতিকারক ট্রোজানের উপস্থিতি আবিষ্কার করে। অ্যাপ্লিকেশন ওপেন করলেই উক্ত ট্রোজান ব্যবহারকারীর সামনে একটি ফেসবুক লগ-ইন পেজ হাজির করে যা এড়িয়ে গেলে অ্যাপের হোম পেজে যাওয়া অসম্ভব। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারী তার লগ-ইন সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করলে অ্যাপ্লিকেশন তাকে এমন একটি কমান্ড এবং কন্ট্রোল সার্ভারে প্রেরণ করে যেখান থেকে ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য সহজেই হাতিয়ে নেওয়া যাবে।
এছাড়াও সিকিউরিটি রিসার্চার ফার্মের রিপোর্ট অনুযায়ী আলোচ্য অ্যাপ ব্যবহারকারীর ডিভাইসে একটি অত্যন্ত ক্ষুদ্র অথচ ক্ষতিকারক কোড প্রবেশ করায়। এর মাধ্যমে অ্যাপের পক্ষে গুগল প্লে-স্টোরের পলিসিকে ফাঁকি দিয়ে অতি সহজে ব্যবহারকারীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
একথা আগেই উল্লেখ করেছি যে নিজের ফেসবুক লগ-ইন সংক্রান্ত তথ্য এন্টার না করলে একজন ইউজার কার্টুন তৈরীর আলোচ্য অ্যাপ ব্যবহারে বিফল হবেন। উল্টোদিকে লগ-ইন ডেটা প্রদান করলেই তিনি ছবিকে গ্রাফিকে বদলে দেওয়ার মতো অ্যাপের নজরকাড়া অনেক ফিচার ব্যবহারে সমর্থ হন। এরপর আলোচ্য অ্যাপ তাকে সেই ছবি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার সুযোগ করে দেয়। অথচ এই প্রক্রিয়ার আড়ালে এটি কখন ইউজারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য হাসিল করে তা তিনি ঘুণাক্ষরেও টের পান না। সুতরাং এই মুহূর্তে প্লে-স্টোরে অনুপলব্ধ উপরোক্ত অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার না করাই যে প্রকৃত বুদ্ধিমানের কাজ হবে তা বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখেনা।