ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে আচমকা ধস, Bitcoin-এর মূল্যে 50 শতাংশ পতন
ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে নেমে এল আচমকা ধস! সম্প্রতি সারা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সির দামে বড়সড় বদল দেখা দিয়েছে। এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় থেকেই ক্রিপ্টো মার্কেটে চূড়ান্ত টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। আর এবার সবচেয়ে বড়ো তথা সর্বাধিক প্রচলিত ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন (Bitcoin) থেকে শুরু করে একাধিক ক্রিপ্টোর দামেই রেকর্ড পতন হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। আর এর ফলস্বরূপ খুব স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের।
BBC-র এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিটকয়েনের দাম ৩৪ হাজার ডলারেরও নীচে নেমে এসেছে।কয়েনবেস (Coinbase) ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জের মতে, বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টো বিটকয়েন গত বছরের নভেম্বরে তার সর্বোচ্চ শিখরে ছিল। কিন্তু বর্তমানে এটির মার্কেট ভ্যালু প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই মুহূর্তে শেয়ার বাজারও ক্রমশ তীব্র পতনের মুখোমুখি হচ্ছে। তবে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটের এক-তৃতীয়াংশ বিটকয়েনের দখলে রয়েছে। এর মোট মূল্য এখন ৬৫০ বিলিয়ন ডলার।
বিটকয়েনের মতোই ইথেরিয়াম (Ethereum)-এর অবস্থাও মোটেই ভালো নয়। এই ক্রিপ্টোকারেন্সিটির দামও আচমকা অনেকটাই কমে গেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এক সপ্তাহে এই ক্রিপ্টোটির ভ্যালু ১০ শতাংশ নেমে গিয়েছে। তবে এই বিপুল পরিমাণ পতন প্রত্যক্ষ করার পরেও বিশেষজ্ঞদের মত, ক্রিপ্টো কয়েনগুলি যে তাদের বাজারদর কিংবা জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলতে চলেছে তা কিন্তু একেবারেই নয়। বরং খুব শীঘ্রই আবার এই ডিজিটাল মুদ্রাগুলি সুদিনের মুখ দেখবে।
কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরে ক্রিপ্টো মার্কেটে এই ধসের ধারা অব্যাহত থাকার পিছনে কারণটা কী? বিশেষজ্ঞদের মতে, গত জানুয়ারিতে করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন-সহ একাধিক কারণে মার্কেটে অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মুদ্রাস্ফীতি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক নীতির প্রভাবে ক্রমশ নীচের দিকে নামতে শুরু করে ক্রিপ্টোর দাম। এরপর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দামামা বাজার পর থেকেই ক্রিপ্টো দুনিয়ায় রীতিমতো লালবাতি জ্বলতে শুরু করেছে। আর এই যুদ্ধের দরুন গোটা বিশ্বে যে চরম অস্থিরতা তথা টালমাটাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার সুবাদে আগামী দিনেও ক্রিপ্টোর বাজার নীচের দিকে থাকবে বলে অনেকেই মনে করছেন। তাই সব মিলিয়ে এই ডিজিটাল মুদ্রায় বিনিয়োগ নিয়ে এখন ভীষণরকম চিন্তিত বিনিয়োগকারীরা। যদিও সব ঝামেলা কাটিয়ে ক্রিপ্টোর বাজার যে কবে আবার ফুলেফেঁপে উঠবে, তার উত্তর একমাত্র সময়ের কাছেই রয়েছে।