এক রিচার্জে ১৫ মাস, BSNL-এর এই দুই স্পেশাল প্ল্যানের অফার শেষ হচ্ছে ৩১ মার্চ
রাষ্ট্রয়ত্ত টেলিকম অপারেটর সংস্থা BSNL গ্রাহকদের জন্য বর্তমানে এক সুবর্ণ সুযোগ নিয়ে হাজির হয়েছে। একে কাজে লাগিয়ে আগ্রহীরা টেলকোর নির্বাচিত প্ল্যানের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৪৫৫ দিনের ভ্যালিডিটি আদায় করে নিতে পারবেন। সেদিক থেকে বাড়তি হিসেবেই তারা পেয়ে যাবেন মোট ৩ মাসের ভ্যালিডিটি, যার জন্য আলাদাভাবে কোনো অর্থ খরচ করতে হবে না।
আজ্ঞে হ্যাঁ, সম্প্রতি BSNL -এর ঝুলিতে এমন দুটি হাই-এন্ড প্রিপেইড প্ল্যান রয়েছে, যারা সাধারণ অবস্থায় ৩৬৫ দিন অর্থাৎ পুরো ১ বছরের ভ্যালিডিটি সহ উপলব্ধ। কিন্তু ৩১শে মার্চ, ২০২২ তারিখের আগে রিচার্জ করলে উক্ত প্ল্যান দুটির সাথেই গ্রাহকেরা ৬০ থেকে ৯০ দিনের অতিরিক্ত ভ্যালিডিটি পেয়ে যাবেন। সুতরাং পুরো বছরের বৈধতা প্রদানকারী অপেক্ষাকৃত বেশি দামের এই প্ল্যানদুটি রিচার্জ করলে বর্তমানে বেশ লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সেজন্য BSNL গ্রাহকদের ৩১শে মার্চের আগে রিচার্জ সেরে ফেলতে হবে। উল্লেখ্য, আলোচ্য প্ল্যানদুটি যথাক্রমে ২,৩৯৯ এবং ২,৯৯৯ টাকার বাজারমূল্য সহ আগত।
২,৩৯৯ টাকার BSNL প্রিপেইড প্ল্যান প্রদান করবে পুরো ৪২৫ দিনের ভ্যালিডিটি
একদম ঠিক পড়ছেন। ২,৩৯৯ টাকার বিএসএনএল প্ল্যান বেছে নিলে বর্তমানে ৬০ দিনের অতিরিক্ত ভ্যালিডিটি পাওয়া যাবে। এর ফলে ৩৬৫ দিনের বৈধতা প্রদানকারী এই প্ল্যান এখন ৪২৫ দিনের পরিষেবা মেয়াদে বিদ্যমান। এটি রিচার্জ করলে বিএসএনএল গ্রাহকেরা দৈনিক ২ জিবি ডেটা, ১০০ এসএমএস খরচ এবং যে কোনো নেটওয়ার্কে অফুরন্ত ভয়েস কল করার সুযোগ পাবেন। তবে ডেটা চাহিদা বেশি হলে ২,৯৯৯ টাকার প্ল্যান বিএসএনএল গ্রাহকদের পক্ষে বেশি লাভজনক হতে পারে।
২,৯৯৯ টাকার BSNL প্রিপেইড প্ল্যান
এই প্ল্যানও সাধারণ অবস্থায় ৩৬৫ দিনের ভ্যালিডিটি প্রদান করে থাকে। তবে ৩১শে মার্চের আগে রিচার্জ করলে এই প্ল্যানের সঙ্গে ৯০ দিন অর্থাৎ পুরো ৩ মাসের বাড়তি বৈধতা মিলবে। একইসাথে BSNL -এর এই রিচার্জ বিকল্প বেছে নিলে দিন পিছু ৩ জিবি ডেটা, ১০০ এসএমএস খরচ সহ যে কোনো নেটওয়ার্কে আনলিমিটেড ভয়েস কল করার সুবিধা পাওয়া যাবে। ফলে বাড়তি লাভের জন্য আগ্রহীরা এটি চয়ন করতে পারেন।
অন্যান্য বেসরকারি টেলকোগুলির নিরিখে বিচার করলে উপরের BSNL প্ল্যানগুলি তুলনামূলক ভালো বিকল্প। তবে মনে রাখা দরকার যে এখনো পর্যন্ত BSNL দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে 4G নেটওয়ার্ক রোলআউট করতে সমর্থ হয়নি। সেদিক থেকে Reliance Jio, Airtel এবং Vi -এর মতো সংস্থাগুলি বিএসএনএলের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। তবে সারা দেশজুড়ে দ্রুত 4G নেটওয়ার্ক লঞ্চের জন্য BSNL ইতিমধ্যেই টিসিএসের (TCS) সাথে হাত মিলিয়েছে। সেক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি এর সুফল পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।