Mobile Recharge Tariff: মোবাইল রিচার্জের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে হস্তক্ষেপ নয়, স্পষ্ট করল কেন্দ্র
মোবাইল রিচার্জের দাম বাড়ানোর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ অব্যাহত। বাধ্য হয়ে অনেকেই বেসরকারি টেলিকম সংস্থার সিম ত্যাগ করে বিএসএনএলের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছেন।
এই বছরের মধ্যবিত্তের কাছে অন্যতম বড় ধাক্কা ছিল মোবাইল রিচার্জের দাম বেড়ে যাওয়া। দেশের তিন বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর - Jio, Airtel এবং Vi, প্রায় ১১-২৫ শতাংশ রিচার্জের দাম বৃদ্ধি করেছে। যদিও সংস্থাগুলির এই সিদ্ধান্তে অখুশি গ্রাহকরা। তবে টেলিকম সংস্থাগুলির এই সিদ্ধান্তে কোনও হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে আরও একবার স্পষ্ট করল সরকার।
কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা বেসরকারি টেলিকম অপারেটরগুলির এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত হবে না। ট্যারিফগুলি টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (TRAI) এর আওতাভুক্ত। তাই সংস্থাগুলির ট্যারিফ সিদ্ধান্তগুলিতে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না সরকার৷
এই প্রসঙ্গে যোগাযোগ ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী ডঃ পেমাসানি চন্দ্র সেখর বলেন, ২০০৪ সালে টেলিকম পরিষেবা বাজারে পর্যাপ্ত প্রতিযোগিতার উপস্থিতি নির্ধারণ করার পরে, বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মোবাইল টেলিকম পরিষেবাগুলির জন্য সহনশীলতার নীতি গ্রহণ করেছে ট্রাই। এটি বোঝায় যে, চাহিদা ও সরবরাহের উপর ভিত্তি করে, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টেলিযোগাযোগ পরিষেবার জন্য ট্যারিফ নির্ধারণ, সংস্থাগুলির কাছে স্বাধীন সিদ্ধান্ত।
তিনি আরও বলেন, ভারতীয় টেলিকম শুল্ক বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন। তুলনা করার জন্য, ভারতে ১ জিবি ডেটার গড় খরচ ০.২০ ডলারের কম (ভারতীয় মুদ্রায় ১৬.৯৫ টাকা)। যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একই খরচ গড়ে ৬ ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ৫০৮ টাকা।
একমাত্র বিষয় যা টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে টেলকোগুলির জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তা হল শুল্কের কোনও পরিবর্তন আনা হলে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা করতে হবে। এছাড়া শুধুমাত্র এসএমএস এবং কলিং সুবিধার সাথে প্রিপেইড প্ল্যানের প্রয়োজন রয়েছে কিনা তা চিন্তাভাবনা করছে ট্রাই।