Baaz Bikes মাত্র 35,000 টাকায় ইলেকট্রিক স্কুটার লঞ্চ করল, লাইসেন্স ছাড়াই চালাতে পারবেন

ভারতের বাজারে বৈদ্যুতিক টু-হুইলারের সম্ভার দিন দিন বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি আকর্ষণীয় মডেল আনার ক্ষেত্রেও সংস্থাগুলির মধ্যে রেষারেষি চোখে পড়ার মতোই। একে অপরকে টেক্কা দিতে তাদের কেউ ফিচারে জোর দিচ্ছে বা কেউ স্কুটারের দামে। তেমনই এবারে বাজ বাইকস (Baaz Bikes) নামে ভারতীয় ইলেকট্রিক টু-হুইলার স্টার্টআপ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি একটি ‘স্মার্ট-রাগেড’ বৈদ্যুতিক স্কুটার লঞ্চের ঘোষণা করল। পাশাপাশি একাধিক ফ্লিট ম্যানেজমেন্ট টুল যেমন সোয়াপেবল ব্যাটারি এবং অটোনেটেড ব্যাটারি সোয়াপিং নেটওয়ার্ক চালুর কথাও ঘোষণা করেছে তারা। এ থেকে বলার অপেক্ষা রাখে না, যে Baaz স্কুটারেও সোয়াপেবল ব্যাটারি প্রযুক্তি উপলব্ধ।

Baaz স্কুটারের আদ্যপ্রান্ত তৈরি হয়েছে এদেশের মাটিতেই। আইআইটি দিল্লিতে নির্মিত হয়েছে এটি। যে কারণে দাম বর্তমান যুগের ব্যাটারি চালিত স্কুটারের তুলনায় একদমই কম। ব্যাটারি ছাড়া মাত্র ৩৫,০০০ টাকা (এক্স-শোরুম, দিল্লি)। যা সম্ভব হয়েছে একমাত্র রিমুভেবল ব্যাটারির জন্য। কারণ একটি স্কুটারের ৪০% বা তার বেশি দাম হয় ব্যাটারির।

সংস্থাটি জানিয়েছে এটি একটি পারপাস বিল্ট ইলেকট্রিক ভেহিকেল। এটি ডেলিভারি ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য উপযুক্ত। আবার সংস্থার রেন্টাল পার্টনারের থেকে স্কুটারটি ভাড়াতেও নেওয়া যাবে। এই প্রসঙ্গে বাজ বাইকসের প্রধান কার্যনির্বাহী আধিকারিক অনুভব শর্মা বলেন, “দীর্ঘস্থায়ী যানবাহনের নেতৃত্ব স্থানীয় সংস্থা হিসেবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি উচ্চ মানের পণ্য নিয়ে আসা। এবং শ্রমজীবী মানুষের নিরাপত্তা ও সন্তুষ্টির জন্য উন্নত ইকোসিস্টেমের বিকাশ ঘটানো।”

শর্মা যোগ করেন, “আমাদের প্রোডাক্টগুলি রাস্তায় চালকদের বিশেষ পরিষেবা দান, যেমন পরিসীমার উদ্বেগ, চার্জ করানোর সহজ ব্যবস্থা এবং চলাচলের খরচ কমানোর জন্য উপযুক্ত হিসেবে ডিজাইন ও নির্মাণ করা হয়েছে।” বাজ বাইকসের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের রাজধানী দিল্লিতে পরিষেবা চালু করা হলেও ধীরে ধীরে তা সমগ্র দেশেই ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে শর্মার বক্তব্য, “আমাদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হলে বৃহৎ সংখ্যক গ্রাহকের কাছে পৌঁছনোর সুযোগ করে দেবে।”

Baaz ইলেকট্রিক স্কুটার এর রেঞ্জ সম্পর্কে অবশ্য কোনও তথ্য জানানো হয়নি। তবে সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ২৫ কিমি হওয়ার কারণ চালাতে ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন নেই। স্কুটার বিকল হলে তার নির্দিষ্ট কারণ জানান দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এতে। এমনকি আগুন বা জমা জলে কোন সমস্যা হলে প্রতিরোধ করবে এটি। এছাড়া অ্যান্টি ভ্যান্ডালিজম এবং অ্যান্টি থেফ্ট সুবিধা উপলব্ধ। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে কিলেস স্টার্ট, জিপিএস চালিত রিয়েল টাইম ব্যাটারি সহ সোয়াপেবল ব্যাটারি মেকানিজম এবং ভেহিকেল ট্র্যাকিং।