চুরি পরের কথা, উল্টে চোর ভয়ে পালাবে, গাড়িতে এই যন্ত্র লাগিয়ে নিলে কেল্লাফতে

কথায় আছে শখের দাম লাখ টাকা। শখ পূরণ করতে কত মানুষ কত কিছুই না করে থাকেন। সিংহভাগ মানুষের শখের তালিকায় রয়েছে গাড়ি। এমন বহু ব্যক্তি রয়েছেন যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তিলতিল করে জমানো অর্থ দিয়ে ছোটখাটো একটি গাড়ি কিনেছেন। কম দামি হলেও এটি মালিকের কাছে বহু মূল্যবান। আবার কোন বিত্তবানের ব্যবহৃত উচ্চমূল্যের গাড়িটিও ওই ব্যক্তির কাছে সমান দামি। কাজেই গাড়ি কম দামি হোক বা বেশি, চুরি যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে কেউই সুরক্ষার সাথে আপোস করতে চাইবেন না। আজকাল গাড়ির সাথেই বেশকিছু অ্যান্টি থেফ্ট ডিভাইস দেওয়া থাকছে। আবার আফটারমার্কেট পার্টস কিনেও চুরি যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। চলুন গাড়ির চুরি ঠেকাতে সক্ষম, এমন ছ’টি ডিভাইস সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

স্টিয়ারিং হুইল লক

স্টিয়ারিং হুইল লক গাড়ি চুরি যাওয়া প্রতিরোধ করতে সক্ষম। চোর যদি কোনভাবে ইঞ্জিন চালু করেও ফেলে, এই ডিভাইসটি গাড়ি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া থেকে বাধা দেবে। অল্প জায়গায় রাখার জন্য এখন ফোল্ডেবেল স্টিয়ারিং হুইল লক বেরিয়েছে। তবে কিছু চোর স্টিয়ারিং হুইল খুলে নিতে পটু। তাই উন্নত মানের ও মেটালের তৈরি স্টিয়ারিং হুইল লক নেওয়ার পরামর্শ রইল। যাতে এটি সহজে কেটে ফেলা সম্ভব না হয়।

জিপিএস ট্র্যাকিং

কষ্টার্জিত অর্থে গাড়ি তো কিনেছেন, সেটির সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আপনার। তস্করের চোখ ফাঁকি দিতে সক্ষম এমন একটি ডিভাইস হচ্ছে জিপিএস ট্র্যাকিং। গাড়ি চুরি হয়ে গেলেও এর সাহায্যে পুলিশ রিয়েল টাইম লোকেশন সম্পর্কে অবগত হতে পারেন। এমনকি গাড়ি চলছে নাকি থেমে রয়েছে তাও জানা যায়।

অ্যালার্ম সিস্টেম

গাড়ির নিরাপত্তা প্রদানে কার অ্যালার্ম একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। এতে ফিচার্স হিসেবে রয়েছে মোশান ও শক সেন্সর, মোবাইল অ্যাপ এবং জিপিএস ট্র্যাকার। জানালার কাজ ভাঙলে অথবা কোনোভাবে ঢোকার চেষ্টা করলে এতে উপস্থিত অ্যালার্ম থেকে জোরে সাইরেন বাজতে আরম্ভ করে। গাড়ির সাথে যদি এমন অ্যালার্ম সিস্টেম নাও থাকে, সেটি বাইরে থেকে লাগিয়ে নেওয়া যায়। অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইলে জানান দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এতে।

ড্যাশ ক্যাম

ড্যাশ ক্যাম এমন একটি ডিভাইস যা গাড়ি চলার সময় বা পার্কিংয়ে থাকলে আশেপাশের ফুটেজ রেকর্ড করে। যা দেখে চোরকে চিহ্নিত করা খুব সহজ।

ইঞ্জিন ইমমোবিলাইজার

ইঞ্জিন ইমমোবিলাইজার হচ্ছে এমন এক ডিভাইস, যা সঠিক চাবি ছাড়া ইঞ্জিন স্টার্ট হতে দেয় না। ফলে চোরের পক্ষে গাড়ি চুরি করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। আজকাল বহু নির্মাতা এই ডিভাইসটি ব্যবহার করছে।

কিল সুইচ

নির্দিষ্ট সার্কিট অথবা সিস্টেম নিষ্ক্রিয় করে গাড়ির সুরক্ষা বাড়াতে কিল সুইচের জুড়ি মেলা ভার। এতেও গাড়ির ইঞ্জিন চালু করা চোরদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এই সুইচ ম্যানুয়ালি অথবা রিমোটের মাধ্যমে সক্রিয় করা যায়।